নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কি হয় জেনে নিন

নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কি হয় ? এই বিষয় সম্পর্কে আমরা অধিকাংশই জানিনা। তবে ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি শক্তি রয়েছে। যা জানার পর আপনি অবাক হয়ে যাবেন এই ভেবে যে এই ভাতের মাড় কতটা উপকারী। আসুন নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কি হয় 

এ সম্পর্কে আজকে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। শুধু একটি অনুরোধ এই পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি এতে আপনি অনেক তথ্য জানতে পারবেন। আসলেই ভাতের মার কতটা প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য তালিকার অংশ।

পেজ সূচিপত্র: নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কি হয় জেনে নিন

নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কি হয় বা এর উপকারিতা

নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কি হয় বা এর উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য তুলে ধরব। ভাতের মাড়, ভাত থেকে নিষ্কাশিত একটি কার্বোহাইড্রেট এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন- 

  • সহজে গ্রহণযোগ্য শক্তি ভাতের মার হল শক্তির জন্য একটি ভালো উৎস। কারণ এটি সহজেই হজম হয়ে যায় এবং শোষিত হতে পারে। যাদের পাচনতন্ত্রের সমস্যা রয়েছে সে ধরনের মানুষ, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি খুব আদর্শ খাদ্য।
  • নিম্ন এলার্জেনিক সম্ভাবনা অন্যান্য শস্যের তুলনায় ভাতের মাড়ে নিম্ন এলার্জিক এবং বিশেষ করে গ্লুটেনের জন্য খুবই নিরাপদ।
  • অন্ত্রকে ভালো রাখে ভাতের মাড়ে প্রচুর পরিমাণ স্টার্চ থাকে। এটি এক ধরনের ফাইবার বা প্রবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। যার কারণে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে এবং হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ব্লাড সুগার ম্যানেজমেন্ট  যেসব ভাতের মাড়ে অ্যামাইলোজেন পরিমাণ বেশি তাদের গ্লাইসনিক কম থাকে যার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • বহুমুখী উপাদান ভাতের মাড় বিভিন্ন ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে সস, এবং সুপের ঘন উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এটি শিশুর খাবার হিসাবে ও ব্যবহার করা হয়। 
  • ত্বকের উপকার ভাতের মাড় কখনো কখনো প্রসাধনী হিসাবে এবং ত্বকের যত্নের পণ্য হিসাবে প্রশান্তদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে বহুল ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকে ব্যবহারের সময় প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে একটি সুষম খাদ্যের উপকারী অংশ হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও কার্যকরী সুবিধা।
  • তীব্র জ্বর  তীব্র জ্বরের সময় যদি কোন ওষুধ হাতের নাগালে পাওয়া না যায়। সে ক্ষেত্রে ভাতের মার তৈরি করে হালকা গরম অবস্থায় যদি খাওয়ানো হয় তাহলে জ্বর দ্রুত সেরে ওঠে। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন নিয়মিত ভাতের মার খেলে কি হয় বা কতটা উপকার।

হাতের মাড়ের ইংরেজি নাম এবং খাওয়ার ইতিহাস

ভাতের মাড়ের ইংরেজি নাম ও খাওয়ার ইতিহাস এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করা হলো। ভাতের মাড়ের ইংরেজি নাম হচ্ছে: "Rice starch" 

ইতিহাস  ভাতের মাড়ের ব্যবহার প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু হয়। বিশেষ করে এশিয়ার চীন ও জাপানে এটি শুরু হয়। প্রথমের দিকে সাংস্কৃতিগুলি রান্না এবং ঐতিহ্যগত ঔষধে এর ব্যবহার স্বীকার করা হয়েছে। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ভাতের মাড়কে সস স্যুপ এবং গ্রেভিতে ঘন করার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

এশিয়ান খাবারের ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির কারণে এটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া বর্তমান বিশ্বে ভাতের মাড় শিশুর খাদ্য তালিকার পরিপূরক এবং কিছু স্কিন কেয়ার পণ্যের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ না পড়লে ভাতের মাড় খেলে কি হয় তা বুঝতে পারবেন না।

আরো পড়ুন: হরিতকি ফলের উপকারী দিক

ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় এই প্রশ্নটি সাধারণত আপনার মনে জেগে উঠবে। তবে হ্যাঁ দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। এছাড়া নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কি হয় সেটিও আপনি এই পোস্টে জানতে পারবেন। যদি পরিমিত পরিমাণ ভাতের মাড় খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে যেহেতু ভাতের মাড়ে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইডেট রয়েছে যার কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে

 ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ভাতের মাড় অন্য যেকোনো উৎস থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমা হয় বা চর্বি হিসাবে জমা হয়। এখানেই ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যায়। আর যদি অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারের সাথে ভাতের মাড় বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে এটি ইনসুলিন এর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে যা চর্বি ভেঙ্গে শক্তিতে রূপান্তরিত করার বদলে চর্বি সঞ্চয়কে উৎসাহিত করে থাকে।

আরো পড়ুন: প্রতিদিন ঘি খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা

ভাতের মাড় মুখে লাগালে কি হয়

ভাতের মাড় মুখে লাগালে কি হয় এটি জানার পর আপনি অবাক হয়ে যাবেন। যাদের ত্বক খুবই তৈলাক্ত তাদের জন্য ভাতের মাড়ে খুবই উপকার রয়েছে। যদি আপনি এটি ত্বকে লাগান এই ভাতের মাড়ের বৈশিষ্ট্যের কারণে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে দেবে। তেল শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে এছাড়া ভাতের মাড়ের একটি প্রশান্ত দায়ক গুণ রয়েছে যা বিরক্ত বা সংবেদনশীল 

ত্বককে শান্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের লাল ভাব কমিয়ে ত্বকটিকে শীতল অনুভূতি দিতে পারে। আবার ভাতের মাড় ত্বকের মৃত কোষকে অপসারিত করতে পারে। এতে ত্বক নরম ও মসৃণ হয়। আবার ভাতের মাড় কখনো কখনো টেলকম পাউডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আশা করি আপনার কাছে পরিষ্কার হয়েছে যে ভাতের মার মুখে লাগালে কি হয়।

গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারের কথা কম বেশি সবারই জানা। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার গ্রাম্য বধূদের এটি খুব ভালো জানা আছে। ভাতের মাড় যেহেতু সহজেই হজম হয় যা গর্ভাবস্থায় বিশেষভাবে উপকার করে থাকে। এটি পেটকে ঠান্ডা রাখে এবং শক্তির একটি স্থির উৎস হিসাবে কাজ করে। অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট এর তুলনায় পেট ফাঁপা কমাতে পারে। তাই এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য 

একটি বিকল্প শক্তি হিসাবে কাজে লাগে যা গর্ভবতী মহিলাদের বমি বমি ভাব এবং বদহজম থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ভাতের মার হাইপো এলার্জেনিক হওয়ার কারণে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ভাতের মাড় গর্ভাবস্থায় তাদের একটি উপকারী অংশ হতে পারে। সহজে হজম শক্তি প্রদান করে পেট ঠান্ডা রাখে এবং এলার্জি কমিয়ে দেয়।

আরো পড়ুন: বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ভাতের মাড় চুলে লাগালে কি হয়

ভাতের মাড় চুলে লাগালে চুল কি হয় এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ভাতের মাড় যেহেতু অত্যন্ত শোষক হিসেবে কাজ করে তাই এটি মাথার ত্বক এবং চুল থেকে অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। এটি শুষ্ক শ্যাম্পর বিকল্প হিসাবে কাজ করে। তাই চুল ধোয়ার পরিবর্তে ভাতের মাড় চুলের চেহারা বদলে দিতে পারে। ভলিউম তৈরি করে চুল ঘন ও পূর্ণ করে ফেলে। 

এছাড়া ভাতের মাড়ে থাকা স্টার্চ চুলের খাদকে মসৃণ করে ফেলে যার কারণে চুল নরম হয়। তাই এটি চুলের যেকোনো স্টাইল করা ও সহজ করে তোলে। তাই ভাতের মাড় যদি নিয়মিত চুলে লাগান তাহলে চুলের ভলিউম বাড়ে, তৈলাক্ত ভাব কমে যায়, ঘন ঘন ধোয়ার প্রয়োজন হয় না এবং ইচ্ছেমতো চুলের স্টাইলিং করতে পারবেন।

ভাতের মাড় তৈরি করার নিয়ম

ভাতের মাড় তৈরি করার নিয়ম খুবই সহজ। গ্রাম বাংলার বধূরা খুব সুন্দরভাবে এই ভাতের মাড় তৈরি করে থাকেন। প্রথমে চাল পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চালটাকে সিদ্ধ করে নিতে হবে। চাল যখন সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন অতিরিক্ত যে পানি থাকে তা একটি পাত্রে আলাদাভাবে সংগ্রহ করতে হবে। এই ভাতের মাড় পান করতে চাইলে একটু লবণ যোগ করে গরম গরম অবস্থাতেই খেতে হবে।

আরো পড়ুন: কাঁচা বাদাম খাওয়ার গুরুত্বপূর্ন ১৫টি উপকারিতা

ভাতের মাড়ে কি পরিমান ক্যালরি থাকে

ভাতের মাড়ে কি পরিমান ক্যালরি থাকে এটি জানার পর সত্যিই আপনি অবাক হবেন। ক্যালোরি  খুবই কম পরিমাণে থাকে সাধারণত ১০০ মিলি লিটার ভাতের মাড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ ক্যালরি থাকতে পারে। ভাতের মাড় মূলত ভাত রান্নার সময় যে অতিরিক্ত পানি থাকে তাকে মাড় বলা হয়। সেখানে কিছু শর্করা এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান খুবই কম থাকে।

ভাতের মাড়ে কি ধরনের ভিটামিন থাকে

ভাতের মাড়ে কি ধরনের ভিটামিন থাকে তাও আজকে আপনাদের এই পোস্টে জানাবো। সাধারণত ভিটামিনের পরিমাণ কম থাকে। তবে এতে কিছু পরিমাণ ভিটামিন বি ১ বা থায়ামিন, ভিটামিন বি ৩ বা নিয়োসিন, ভিটামিন বি টু বা রিবোফ্লোবিন এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এছাড়া ভাতের মাড়ে সামান্য পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে এবং কিছু শর্করা থাকে। তবে ভারতের মূল পুষ্টি উপাদান গুলো হচ্ছে ভাতেই বিদ্যমান। তাই শুধুমাত্র মাড় থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান ভিটামিন পাওয়া কঠিন।

আরো পড়ুন: পান্তাভাত খাওয়ার উপকারিতা

ভাতের মাড়ের ফেসপ্যাক সম্পর্কে

ভাতের মাড়ের ফেসপ্যাক সম্পর্কে জানার জন্য মেয়েরা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। যেহেতু ভারতের মাড়ে তেল শাসন করার ক্ষমতা বেশি। তাই যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এটি মৃদু বিরক্ত কর এবং স্ফীত ত্বককে আরামদায়ক বা প্রশান্তি দায়ক করতে পারে। এছাড়া ত্বকের লাল ভাব কমিয়ে দিয়ে ত্বককে শীতল করে তোলে। ভাতের মাড়ের ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারের কারণে ত্বকের পৃষ্ঠকে মসৃণ করে তোলে।

এছাড়া ত্বকের খাত বা ছিদ্র কমাতে সাহায্য করে। একটি রাইস টর্চ ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে ভাতের মাড়ের সাথে পানি বা অন্যান্য প্রশান্তি দায়ক উপাদান যেমন মধু বা দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট টি মুখে সমানভাবে লাগান এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক আগের চেয়ে অনেক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এভাবে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।

ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক

ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিকের চেয়ে উপকারী দিকটাই বেশি পরিলক্ষিত হয়। যাই হোক প্রচুর পরিমাণে ভাতের মাড় খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য ক্ষতিকারক দিক রয়েছে যেমন-

ভাতের মাড়ে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইসেমিক সূচক থাকার কারণে রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে করে ডায়াবেটিস রোগী এবং যারা ইনসুলিন নাই তাদের জন্য সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ভাতের মাড়ের উপর যদি নির্ভরশীল হওয়া যায় তাহলে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। কেননা ভাতের মাড়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টির

আরো পড়ুন: কাসাভা বা শিমুল আলুর উপকারিতা  

পরিমাণ কম থাকে। ফাইবার এবং অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের পরিমাণও কম থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত খাবার ফলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। আবার উচ্চ স্টার্স যুক্ত খাবার ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। এছাড়া আর তেমন কোন ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক পরিলক্ষিত হয় না।

লেখকের শেষ কথা: নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কি হয়

লেখক এর শেষ কথা এই যে ভাতের মাড় নিয়মিত খেলে কিছু উপকারিতা পেতে পারেন তবে এটি একটি পরিপূর্ণ খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করা ঠিক হবে না। সুস্থ এবং পরিপূর্ণ পুষ্টির জন্য ভাতের মাড়ের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে যারা পুষ্টির ঘাটতিতে ঢুকছেন বা ডায়াবেটিসের মত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ভাতের মাড়ের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। আশা করি নিয়মিত ভাতের মার খেলে কি হয় তা এই পোস্ট পড়ে জানতে পারলেন। ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url