রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারন ও তা থেকে মুক্তির ৭টি উপায়
রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারন ও তা থেকে মুক্তির ৭টি উপায় এ সম্পর্কে আজকে এই পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করব। সত্যি কথা বলতে রাতের বেলায় কামড়ানোর কারণ জানতে ও তা থেকে মুক্তির উপায় কে না পেতে চায়।
দয়া করে কেউ পোস্টটি না পড়ে এড়িয়ে যাবেন না। আমরা সবাই চাই স্বাভাবিক জীবনযাপন। কোন কিছুর অস্বস্তি জীবনটাকে এলোমেলো করে দিতে পারে। তাই চলুন জেনে নেই রাতের বেলা পাক কামড়ানোর কারণ ও তার মুক্তির উপায়।
পেজ সূচিপত্র: রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারন ও তা থেকে মুক্তির ৭টি উপায়
- রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারন
- রাতের বেলা পা কামড়ানো থেকে মুক্তির উপায়
- পা কামড়ানো কমানোর ব্যায়াম
- পা কামড়ানো কমানোর ওষুধ
- হাত পা কামড়ানোর ঘরোয়া চিকিৎসা
- পা কামড়ানোর হোমিও ঔষধ
- পা কামড়ানোর ওষুধের নাম
- পা কামড়ানোর ভেষজ চিকিৎসা
- পা কামড়ানো কিসের লক্ষণ
- লেখকের শেষ কথা
রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারন
রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারণ এই বিষয়টি প্রায়ই মানুষের মুখে শোনা যায়। অনেকেই
এই সমস্যার সমাধান করার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। তবে প্রথমেই
জানতে হবে কেনই বা রাতের বেলা পা কামড়ানো বা চিবানোর মত পরিস্থিতিতে পরতে হয়।
এই সমস্যা বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। রাতের বেলা পা কামড়ানোর
সম্ভাব্য কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো-
- পেশি টান অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অথবা দীর্ঘক্ষণ কেউ যদি একইভাবে দাঁড়িয়ে থাকে বা বসে থাকে সে ক্ষেত্রে রাতের বেলা পা কামড়ায়।
- পেশির ক্লান্তি অনেকেই আছেন সারাদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এই পেশির ক্লান্তি টা রাতের বেলায় পা কামড়ানোর বা চিবানোর কারণ হয়ে থাকে।
- আঘাত যদি কোনো কারণে পায়ে আঘাত পেয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সেই আঘাতের জায়গা রাতের বেলায় ব্যথা বা কামড়ানোর মত অস্বস্তির ঘটাতে পারে।
- খিচুনি রাতে পায়ের পেশীতে খিঁচুনি হতে পারে এর ফলেও পা কামড়ানোর মত ঘটনা ঘটে।
- স্নায়ুবিক সমস্যা স্নায়ুবিক কোন সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রেও রাতের বেলা পেশিতে কামড়ানো বা চিবানোর মত অস্বস্তি হতে পারে।
- রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা পায়ে রক্ত সঞ্চালনে যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় সেক্ষেত্রেও রাতে পায়ে কামড়ানোর মত ঘটনা ঘটে।
- মাইগ্রেন যদি কারো মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা সমস্যাটি থেকে থাকে তাহলে তা শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও ব্যথা অনুভব করতে পারে।
- মানসিক চাপ যদি কেউ অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকে বা উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে সে কারণে ও রাতে পা কামড়ায়।
- পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব পরিশ্রমের বিপরীতে যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম না হয় সেক্ষেত্রেও রাতে পায়ের পেশীতে চিবানো বা কামড়ানোর মত হয়ে থাকে।
- পুষ্টির অভাব এক্ষেত্রে বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এর অভাবে পায়ের পেশিতে খিচুনি বা অস্বস্তি হতে পারে। এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষিতে রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারণ হতে পারে।
রাতের বেলা পা কামড়ানোর থেকে মুক্তির উপায়
রাতের বেলা পা কামড়ানোর থেকে মুক্তির উপায় কেন পেতে চাই? কেননা সবাই
সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন কামনা করে। তাই রাতের বেলা পা কামড়ানো থেকে মুক্তির
উপায় খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। আসুন
আজকে রাতের বেলা পা কামড়ানোর থেকে মুক্তির উপায় আপনাদেরকে জানাবো।
শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিশ্চিত করতে হবে। কেননা ডিহাইড্রেশন হলে শরীরের
বিভিন্ন পেশীতে টান লাগে। সেক্ষেত্রেও পায়ে রাতের বেলায় চিবানোর মত বিষয়
পরিলক্ষিত হয়। পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাবের কারণে পায়ের পেশিতে টান
পড়ে। তাই কলা, পালং শাক, বাদাম, বীজ ইত্যাদি খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে যেন
পেশির স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
এছাড়া হালকা গরম তেল দিয়ে পায়ে মেসেজ করলে পেশিগুলোর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়
এবং পেশি কামড়ানো বা চিবানো থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। রাতে ঘুমানোর আগে বা
যখনই পায়ের পেশী কামড়ানো মা চিবানোর মত হয় ঠিক তখন মৃদু স্ট্রেচিং করতে পারেন।
এক্ষেত্রে পায়ের পেশির শক্তি ও নমনীয়তা বাড়ে।
যখন পায়ে কামড়ানো বা চিবানোর মত অনুভূতি টের পান। তখন হালকা গরম পানিতে একটি
তোয়ালে ভিজিয়ে পায়ে শেখ দিতে পারেন এতে পেশিগুলো শিথিল হয় এবং কামড়ানোর
প্রবণতা কমে যায়। ঘুমানোর সময় পায়ের অবস্থান আরামদায়ক পজিশনে রাখতে পারেন।
বিশেষ করে পায়ের নিচে বালিশ বা কুশন দিয়ে রাখতে পারেন। এতে পায়ের পেশিতে
কামড়ানোর প্রবণতা কমে যায়।
আর যদি প্রায়ই পায়ের কামড়ানো বা চিবানোর বিষয়টা পরিলক্ষিত হয়। তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে পায়ের কামড়ানো শারীরিক অন্য কোন সমস্যার কারণেও হতে পারে। যেমন ইলেকট্রোলাইটস এর ভারসাম্যহীনতার কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
রাতের বেলা পা কামড়ানোর আরো কিছু মুক্তির উপায় রয়েছে তা নিচে আমি আলাদা আলাদা ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করি পোস্টটি পড়ার পর আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
আরো পড়ুন: স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইসিস রোগীর চিকিৎসার সঠিক নিয়ম
পা কামড়ানো কমানোর ব্যায়াম
পা কামড়ানো কমানোর ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অভ্যাস। যদি কেউ সঠিক নিয়মে
কিছু ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিছু
ব্যায়ামের বিষয় এখানে উল্লেখ করা হলো-
- ক্যাপ স্ট্রেচিং দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়ান এক পা সামনের দিকে এবং অন্য পা পিছনের দিকে অবস্থানে রাখুন। এক্ষেত্রে সামনের পা কিছুটা বাঁকা করে রাখুন এবং পেছনের পা সোজা রাখুন। দুই হাত দেওয়ালে রাখুন এবং পিছনের পায়ের গোড়ালি মাটিতে রেখে সামনের পায়ের দিকে ওজন স্থানান্তরিত করুন। এ অবস্থায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড রাখুন তারপর অন্য পায়ে পরিবর্তন করুন।
- হামস্ট্রিং স্ট্রেচ এবারে মাটিতে বসুন এবং পা দুটো সোজা সামনে রাখুন। ধীরে ধীরে সামনে ঝুঁকে হাত দিয়ে পায়ের আঙ্গুল ছোঁয়ার চেষ্টা করুন।
- কোয়াড্রিসেপ স্ট্রেচ এক্ষেত্রে একটি হাত দিয়ে দেয়াল বা চেয়ার ধরে ব্যালেন্স করুন। অন্য হাত দিয়ে একটি পা পিছনের দিকে তুলে গোড়ালি ধরে রাখুন। যাতে আপনার গোড়ালি আপনার নিতম্বের দিকে টানা থাকে।
- টো স্ট্যান্ড এ পদ্ধতিটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পায়ের আঙ্গুলের উপরে সমস্ত ভর দিয়ে ধীরে ধীরে শরীরটাকে আঙ্গুলের উপরে তুলুন। ৫ সেকেন্ড এভাবে থেকে আবার ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
- পায়ের আঙ্গুল স্ট্রেস এবার পায়ের আঙ্গুল গুলো টেনে ধরে মাটির দিকে চাপ দিন। আঙ্গুলগুলো ধরে রেখে পায়ের গোড়ালি আস্তে আস্তে উঁচু করুন এবং ১০ সেকেন্ড ধরে আবার ধীরে ধীরে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরুন।
- পায়ের গোড়ালি ঘুরানো মাটিতে বসুন এবং একটি পা সোজা করে পায়ের গোড়ালি ঘড়ির কাটার দিকে এবং বিপরীত দিকে ঘুরান।
- পায়ের আঙ্গুল দিয়ে টাওয়েল তোলা একটি ছোট তোয়ালে মাটিতে রেখে পায়ের আঙ্গুল দিয়ে তা তোলার চেষ্টা করুন। এটি পেশীকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এই শিখানো ব্যায়ামগুলো যদি নিয়মিত করা হয় তাহলে পায়ের মাংসপেশী নমনীয় ও শক্তিশালী হয়। যা কামড়ানো বা চিবানোর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
পা কামড়ানো কমানোর ওষুধ
পা কামড়ানোর কমানোর ঔষধ কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন। সাধারণত নিম্ন উল্লেখিত ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট
- পটাশিয়াম সাপ্লিমেন্ট
- ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট
- ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট
- পেইন রিলিফ ঔষধ
- পেশি শিথিল কারক ঔষধ
- টনিক ওয়াটার
এইগুলো ছাড়াও পা কামড়ানো ভিন্নতা অনুযায়ী চিকিৎসক ভিন্ন ঔষধ বা সাপ্লিমেন্ট
পরামর্শ দিতে পারে। তাই কোনো ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়া উচিত।
হাত পা কামড়ানোর ঘরোয়া চিকিৎসা
রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারন ও তা থেকে মুক্তির উপায়ের মধ্যে পা কামড়ানোর ঘরোয়া
চিকিৎসার অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং এই ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো অত্যন্ত কার্যকরীয়
হয়ে থাকে। নিচে কিছু প্রাকৃতিক এবং সহজ পদ্ধতি রয়েছে পা কামড়ানোর ঘরোয়া
চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেমন-
- পানি শূন্যতা দূর করা
- গরম শেখ দেয়া
- ট্রেচিং বা মেসেজ করা
- আলমন্ড অয়েল বা নারকেলের তেল মেসেজ
- ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধি খাবার
- ভিনেগার ও মধু
- গরম মরিচ ও অলিভ অয়েল
- আদার চা
- পান পাতা পেস্ট
- হালকা ব্যায়াম
- মোজা পড়ে ঘুমানো
এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি বেশি কামড়ানোর সমস্যা প্রাথমিকভাবে আরাম দিয়ে থাকে। তবে
যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়ে থাকে তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ
নেয়া দরকার।
আরো পড়ুন: গর্ভবতী মহিলার বিকালঙ্গ বাচ্চা হওয়ার কারন
পা কামড়ানোর হোমিও ঔষধ
পা কামড়ানোর হোমিও ঔষধ ও নিয়মিত যদি খাওয়া যায় তাহলে এটি বেশি কামড়ানোর ক্ষেত্রে ভালো কার্যকরী হতে পারে। এটি হলো রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারন ও তা থেকে মুক্তির উপায়ের আরো একটি পদ্ধতি। এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য ব্যক্তির শরীরের ধরন, উপসর্গ ও নির্দিষ্ট কারণ অনুযায়ী পৃথক পৃথক ভাবে নির্ধারণ করা হয়। কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধ উল্লেখ করা হলো-
- Cuprum Metallicum
- Magnesia Phosphorica
- Rhus Toxicodendron
- Nux Vomica
- Arnica Montana
- Calcarea Carbonica
- Veratrum album
- Chamomilla
- Chaina Officinalis
- Ruta Graveolens
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি। যা একজন অভিজ্ঞ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আপনার নির্দিষ্ট লক্ষণ এবং শরীরের ধরন অনুযায়ী নির্ধারণ
করে থাকেন। তাই নিজে নিজে কোন ঔষধ গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন হোমিওপ্যাথিক
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
পা কামড়ানোর ওষুধের নাম
পা কামড়ানোর ওষুধের নামের ক্ষেত্রে অবশ্যই এলোপ্যাথিক ওষুধের নামের কথা বোঝানো হয়েছে। যা বিশেষ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিচে কিছু কার্যকরী এলোপ্যাথিক ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো
- ম্যাগনেসিয়াম সালফেট
- কুইনাইন
- ক্যালসিয়াম কার্বনেট
- নন স্টেরোরিডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ
- প্যারাসিটামল
- সাইক্লোবেঞ্জাপ্রাইন
- মেথকার্বামল
- বেকলোফ্যান
- ডায়াজিপাম
- টিজানিডিন
এই ওষুধগুলো পা কামড়ানো বা চিবানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। তবে এক্ষেত্রে
অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। কেননা
প্রতিটা ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও ডোজ রয়েছে। তাই আপনাকে সতর্কতার সাথে এই
ওষুধগুলো সেবন করতে হবে।
আরো পড়ুন: ORS সম্পর্কে বিস্তারিত এবং ORS এর উপকারিতা ও অপকারিতা
পা কামড়ানোর ভেষজ চিকিৎসা
পা কামড়ানোর ভেষজ চিকিৎসা এতটাই কার্যকরী যে এখনো গ্রাম বাংলায় এই পদ্ধতিতে পা কামড়ানো বা চিবানোর রোগটি ভালো করতে ব্যবহার করা হয়। এই ভেষজ উপাদানগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে পায়ের মাংসপেশীর কামড়ানো বা চাবানোর ক্ষেত্রে আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে থাকে। যেমন-
- আদা
- কম ফ্রি
- মরিচ
- মরহাম পাতা
- লেবুর রস
- পুদিনা পাতা
- কামিন
- কালোজিরা
- বেসিল
- ফ্যানুগ্রিক
এই ভেষজ চিকিৎসার প্রাকৃতিক উপাদান গুলি অত্যন্ত কার্যকর এই পা কামড়ানোর
ক্ষেত্রে। তবে এটি ব্যবহারের পূর্বে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে ব্যক্তিটির কোন
এলার্জিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা। যদি পা কামড়ানো বা চিবানোর বিষয়টি
বেশি তীব্র হয়ে থাকে তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা
হচ্ছে।
আরো পড়ুন: খতিব দিয়ে সুন্নতে খাতনা করার সহজ নিয়ম
পা কামড়ানো কিসের লক্ষণ
পা কামড়ানো কিসের লক্ষণ এটি জানার আগ্রহ বা কৌতূহল কমবেশি সবার মধ্যেই রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আসলে পা কামড়ানো কিসের লক্ষণ। পা কামড়ানো হচ্ছে পেশির আকস্মিক সংকোচন বা টান বা ব্যথা অনুভব করা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মাধ্যমে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। নিচে কিছু পা কামড়ানো লক্ষণ উল্লেখ করা হলো-
- আকস্মিক ব্যথা
- মাংসপেশির সংকোচন
- মাংসপেশীর অনুভূতি
- পানি শূন্যতা
- ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যহীনতা
- অতিরিক্ত পরিশ্রম
- বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকা
- ভিটামিনের অভাব
- শারীরিক অবস্থান পরিবর্তন
- রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা
- নার্ভের সমস্যা
- গর্ভাবস্থা
- প্রতিশোধক ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
তবে পায়ের কামড়ানো বা চিবানোর বিষয়টি গুরুতর সমস্যা না হলেও এটিকে হেলায়
এড়িয়ে যাওয়ার কোন মানে হয় না। কেননা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অস্বস্তি নিয়ে
বেঁচে থাকাটা খুবই কঠিন তাই যদি পায়ের কামড়ানো বা চাবানোর বিষয়টি বেশি তীব্র
হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনাকে একটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখকের শেষ কথা: রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারন ও তা থেকে মুক্তির ৭টি উপায়
রাতের বেলা পা কামড়ানোর কারণ ও তা থেকে মুক্তির ৭টি উপায় এর ব্যাপারে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। তবে জীবনযাত্রায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তেমনই একটি সমস্যা হচ্ছে রাতের বেলায় পা কামড়ানো থেকে মুক্তির উপায়। সত্য কথা বলতে কি পা কামড়ানোর কারণ মূলত পানি শূন্যতা, ইলেকট্রোলাইটসের অভাব,
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, দীর্ঘসময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা বসে থাকা হয়ে থাকে এবং কিছু ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাবে হয়ে থাকে। তাই আমি আপনাদের পরামর্শ দিব জীবনটা আপনার তাই জীবনকে একটি নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে রেখে জীবন অতিবাহিত করতে হবে। তাই পা কামড়ানো বিষয়টি থেকে মুক্তি পেতে হলে
অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আর যদি পা কামড়ানোর ধরণটা খুব তীব্র হয় অবশ্যই একটি ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পরে আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url