হাত রাঙ্গানোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন মেহেদী ডিজানের ছবি দেখে নিন

হাত রাঙ্গানোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন মেহেদী ডিজানের ছবি দেখে নিন তবে এক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের কৌতুহল অনেক বেশি এবং মেয়েরা এক্ষেত্রে বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে ভেবে থাকে। কে কার চেয়ে সুন্দরভাবে হাতে মেহেদি ডিজাইন করবে সে নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে কিছু কিছু অনুষ্ঠানে হাতে মেহেদী আঁকা হয়ে থাকে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া

এবং মধ্যপ্রাচ্যে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা। এটি সাধারণত বিশেষ অনুষ্ঠান যেমন- বিবাহ উৎসবে বেশি সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য মেয়েরা হাতে মেহেদী রাঙিয়ে থাকে। বিয়ে ছাড়াও অনেকগুলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে মেয়েরা হাতে মেহেদী লাগাতে পছন্দ করে থাকে। নিচে বেশ কিছু ব্যতিক্রমধর্মী মেহেদির ডিজাইন তুলে ধরা হলো

সূচিপত্র: হাত রাঙ্গানোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন মেহেদী ডিজানের ছবি দেখে নিন

বিয়ের অনুষ্ঠানে হাতে মেহেদী ডিজানের ছবি দেখে নিন

বিয়ের অনুষ্ঠানে হাতে মেহেদী লাগানো একটি প্রচলিত রীতি যা মূলত উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে দেখা যায়। মেহেদী বা হেনা একটি প্রাকৃতিক রং যা হাতে এবং পায়ে ডিজাইন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি শুধুমাত্র সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই নয় বরং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ যেমন- কনের হাতে মেহেদি লাগানো একটি ঐতিহ্য। যা তার সৌন্দর্যের বৃদ্ধি করে এবং তাকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। এছাড়া বেশ কিছু ধর্মে

মেহেদী লাগানো কে ভাগ্যের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করা হয়। মেহেদি লাগানোর সময় আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুরা একত্রিত হয়ে উৎসবে হৈ-হুল্লোড় করে উপভোগ করে। মেহেদী ডিজাইন গুলি সাধারণত হল, লতা, পাতা, মসুল এবং বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটন নিয়ে আঁকানো হয়। মেহেদি পাতার গুড়া ও পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করা হয়। এই পেস্টটি কলের মাধ্যমে

হাতে বা পায়ে লাগানো হয়ে থাকে এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললেই সুন্দর একটি ডিজাইন তৈরি হয়। মেহেদির রং দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য লেবুর রস এবং চিনি মিশিয়ে দিলে বহুদিন পর্যন্ত রং লেগে থাকে। মেহেদি লাগানো একটি বিশেষ মুহূর্ত যা কনের জীবনের অন্যতম স্মরণীয় এবং আনন্দঘন সময় গুলির একটি। নিচে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য কয়েকটি সুন্দর সুন্দর মেয়েদের ডিজাইন উল্লেখ করা হল।


ঈদ উদযাপনে হাতে রাঙ্গানোর মেহেদির ডিজাইন

ঈদ উদযাপনে হাতে রাঙানোর মেহেদি ডিজাইন এর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত রয়েছে উল্লেখিত ডিজাইনগুলো। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার মত ইসলামিক অনুষ্ঠানের বিশেষ জনপ্রিয় একটি হাতে মেহেদী নকশা প্রয়োগ করা। অনেক মুসলিম পরিবারের মধ্যে দেখা যায় যা আনন্দ, সৌন্দর্য এবং উদযাপনের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। মেয়েরা এবং

মহিলারা ও এক্ষেত্রে সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য হাতে রাঙানোর জন্য মেহেদি পড়ে থাকেন। কখনো কখনো পায় ও মেহেদি পড়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বন্ধু বান্ধবের মধ্যে বা পরিবারের সাথে একত্রিত হওয়ার পাশাপাশি হাতে মেহেদি পড়ার এবং ডিজাইন গুলি ভাগাভাগি করে অ্যাপ্লিকেশন করার ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। যা কি আনন্দঘন মুহূর্তে পরিণত হয়।



দীপাবলি অনুষ্ঠানে হাতে রাঙ্গানোর মেহেদি ডিজাইন

হিন্দুদের আলোক উৎসব দীপাবলীর সময় হ্যান্ড মেহেন্দি বা হেনা ডিজাইন একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্য। মেহেন্দি লাগানো হলো উৎসব উদযাপন করার এবং নিজেকে সুন্দর জটিল নিদর্শন করে সাজানোর একটি উপায়। দীপাবলির জন্য হ্যান্ড মেহেদী ডিজাইন সম্পর্কে বেশি সবাই জানেন।এক্ষেত্রে মেহেদি ডিজাইনের নকশা হল- ফুল, লতাপাতা কিংবা এই ধরনের চিত্র অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ডিজাইনগুলো খুবই জটিল প্রকৃতির যা আঙ্গুলের ডগা থেকে হাতের কব্জি পর্যন্ত পুরোটাই ঢেকে রাখা হয়।



জন্মদিন বা অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে হাতে রাঙ্গানোর মেহেদি ডিজাইন

জন্মদিন বা অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে হাতে রাঙ্গানোর মেহেদি ডিজাইন করার জন্য সবার মধ্যেই এই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়।জন্মদিনের মেহেদির ডিজাইন করা একটি চমৎকার উপায় হতে পারে সেলিব্রেশন আরো বিশেষ এবং স্মরণীয় করে তোলার জন্য। মেহেদী সাধারণত হিন্দু এবং মুসলমান পরিবারে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন উদযাপনে এবং এটি জন্মদিনের পার্টির জন্য জনপ্রিয় হতে পারে।

নিচে মেহেদীর ডিজাইন সম্পর্কে বেশ কিছু ছবি উল্লেখ করা হলো-



শেষ কথা 

আসলে বাংলার সমাজের এখনো হিন্দু এবং মুসলমান সমাজের মধ্যে সামাজিক ও পারিবারিক কোন অনুষ্ঠান শুরু হতে গেলে হাতে মেহেদি পড়ার ধুম পড়ে যায়। এক্ষেত্রে কে কত সুন্দর হাতে মেহেদির ডিজাইন করতে পারে তার ভিতরে প্রতিযোগিতার লড়াই একটি আনন্দঘন মুহূর্ত তৈরি করে। ছোট বড় সব ধরনের বয়সের মেয়ে এবং মহিলারা মেহেদী পড়ে থাকে। এটি যেমন সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করে তেমনি সম্পর্ক ভালো রাখে। একে অন্যের হাতে মেহেদী আঁকিয়ে দেওয়ার মধ্যে ভালোবাসা সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url