খতিব দিয়ে সুন্নতে খাতনা করার সহজ নিয়ম জেনে নিন
খতিব দিয়ে সুন্নতে খাতনা করার সহজ নিয়মের ক্ষেত্রে ইসলামী প্রেক্ষাপটে বলা হয়, যে
ব্যক্তি সুন্নতে খাতনা সহ পুরুষ খাতনা করে থাকে তাদেরকে সাধারণত মহেল বা খতিব বলা
হয়। শিক্ষিত এবং এই পদবীগুলি সেইসব ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য যারা সাধারণত
প্রশিক্ষিত এবং ইসলামী ঐতিহ্য ও শিক্ষা অনুযায়ী
খাতনা করার অনুমতি পেয়ে থাকে। সুন্নতে খাতনা মুসলমানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ
ধর্মীয় বিধি। আমাদের মুসলমান পরিবারের জন্য খাতনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং
বাধ্যতামূলক। আসুন জেনে নেয়া যাক খতিব দ্বারা কিভাবে সঠিক নিয়মে খাতনা করা
হয়ে থাকে।
পেজ সূচিপত্র: খতিব দিয়ে সুন্নতে খাতনা করার সহজ নিয়ম জেনে নিন
- খাতনা সম্পর্কিত অজানা সাধারণ তথ্য
- খাতনার বা মুসলমানির ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান করা বিষয়ে
- খতিব দ্বারা সুন্নতে খাতনা বা মুসলমানি করার নিয়ম
- খাতনা বা মুসলমানি করার পর করণীয়
- খাতনা বা মুসলমানি করার উপকারিতা
- মুসলমানি বা খাতনা করার খরচ সম্পর্কে
- বেশি বয়সে খাতনা করার বিষয় সম্পর্কে
- মুসলমানি বা খাতনা করার পর যে খাবার খাবেন
- উপসংহার
খাতনা সম্পর্কিত অজানা সাধারণ তথ্য
ইসলামী সংস্কৃতিতে মুসলমানদের মধ্যে খাতনা বা পুরুষাঙ্গের সামনের বর্ধিত চামড়া
কেটে ফেলার প্রচলন রয়েছে। যা মুসলমানি করা বা খাতনা করা বা খেতান
নামে পরিচিত। পুরুষের ক্ষেত্রে খাতনা করার বিষয়ে মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে
প্রচলিত এবং আইনগতভাবেও প্রতিষ্ঠিত। তাই এটি বৃহত্তর চিহ্ন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত
রয়েছে ইসলামে। পুরুষদের খাতনা সমাসীন তবে অন্য যেকোনো ধর্মালম্বীদের
খাতনা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যেহেতু ইসলাম একটি
সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় গোষ্ঠী যার কারণে এটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত এবং প্রতিষ্ঠিত। যদিও
খাতনার বিষয়ে কুরআনে কোন আয়াত বর্ণিত হয়নি। তবে এক্ষেত্রে এটি হাদিসে
উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হবার পর যদি কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
করে সেক্ষেত্রে মুসলমানী করা উচিত কিনা তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। খাতনার বিষয়ে
কুরআনেউল্লেখ না থাকলেও ইসলামে নবী মুহাম্মদ (সা:) এর সময়ে পৌত্তলিক আরোগ
গোত্রের বেশিরভাগ পুরুষদের খাতনা করা হতো।
প্রাক ইসলামী সম্প্রদায়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির প্রতিক হিসাবে প্রথমদিকের যেসব
শিষ্য ছিল তাদেরকে খাতনা করা হয়েছিল। যার কারণে কিছু বিবরণের জানা যায়
বাইজানটিয়ামের সম্রাট হেরাক্লিয়াস মোহাম্মদ(সা:) কে খতনা করা লোকদের নেতা
হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। এছাড়া অন্য কিছু হাদিসে এসেছে যে মোহাম্মাদ(সা:) অনুমতি
সাপেক্ষে তার নাতি হাসান ইবনে আলী এবং হোসাইন ইবনে আলীকে তাদের জন্মের সপ্তম দিনে
খাতনা করিয়েছিলেন। এছাড়া আবু দাউদ এবং আহাম্মদ বিন হাম্বল
দ্বারাও বর্ণিত হয়েছে যে, মোহাম্মদ(সা:) বলেছেন খাতনা পুরুষদের জন্য আইন
এবং মহিলাদের জন্য সম্মান রক্ষা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশগুলোতে খাতনার
সাধারণ অনুশীলন থাকা সত্ত্বেও এটিকে সুন্নাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা আল্লাহ
কর্তৃক অত্যাবশক অর্থাৎ ফরজ ছিল না। ধর্মীয় ইতিহাসবিদ এবং ধর্মীয় পণ্ডিতগণের
মতে খাতনার ইসলামী ঐতিহ্য প্রাথমিক ইসলামী আরবের পৌত্তলিক প্রথা এবং আচার
অনুষ্ঠান থেকে উদ্ভূত হয়েছিল যা কোরআনে কোন খাতনা বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি।
খাতনা বা মুসলমানির ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান করা বিষয়ে
খাতনা বা মুসলমানির ক্ষেত্রে ইসলামে অনুষ্ঠান করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। ইসলামে
মুসলমানিকে খতনা বা খেতান বলা হয়ে থাকে। পুরুষদের জন্য এটি ধর্মীয় অনুশীলন
হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অনুষ্ঠানকে যদিও মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ অঞ্চল জুড়ে এর
অনুশীলন হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে এর অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে। এটি
সাধারণত অল্প বয়সে যেসব বাচ্চাদের মুসলমানি করা হয় সে ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে
একটি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। বিয়ে বা জন্মদিনের মতো এরকম ভাবে বড় পরিসরে
অনুষ্ঠান করা খুব কমই দেখা যায়।
মুসলমানি করার বিষয়টি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের পরিবর্তে ধর্মীয় এবং সংস্কৃতিক
নিয়মের উপর ভিত্তি করে করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠানটিকে
মুসলমান পরিবার বিষয়টাকে মনে রাখার জন্য একটি খাবার বা একটি ছোট্ট সমাবেশের
জন্য একত্রে মিলিত হতে দেখা যায়। তবে এটি ইসলামে সর্বজনীন অনুশীলন নয় এবং
ধর্মীয় গ্রন্থে এটি নির্দিষ্ট করা হয়নি। নিজের ভালোলাগার জন্য ফ্যামিলির সঙ্গে
একত্রিত হওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়।
খতিব দ্বারা সুন্নতে খাতনা বা মুসলমানি করার নিয়ম
খতিব দ্বারা মুসলমানি করার পদ্ধতি হলো একটি বিশেষ কৌশল। যেটা মেটাল ক্ল্যাম্প
ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং পুরুষাঙ্গের সামনের বর্ধিত চামড়া কেটে ফেলার পর
সামনের চামড়া ঠিক জায়গায় রাখা হয়। এই পদ্ধতিটি কিভাবে সম্পন্ন করা হয় তা
ধাপে ধাপে এখানে উল্লেখ করা হলো-
জীবাণুমুক্তকরণ যেসব ধাতক সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করা হবে সেগুলোকে
জীবাণুমুক্ত করা হয়। যাতে পরবর্তীতে কোন ইনফেকশন না হয়। স্থানীয় এছাড়া যে
জায়গাটিকে অস্ত্রপাচার করা হবে ঠিক সে জায়গায় লোকাল আনেস্থেসিয়া ব্যবহার করে
অবশ করে নেয়া হয়। যাতে অস্ত্রপাচারের সময় ব্যথা অনুভব না করে।
পজিশনিং যে শিশুটিকে মুসলমানি দেওয়া হবে তাকে শোয়ানো অবস্থায় কিংবা কোন
টুলে বসা অবস্থায় পুরুষাঙ্গ অংশটি উন্মুক্ত করা হয় এবং অ্যান্টিসেপটিভ দ্রবণ
দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করার জন্য বারবার ধুতে হয়।
ক্লাম্পিং ধাতক ক্ল্যাম্প বা খতিবের যে ক্ল্যাম্প গুলো
রয়েছে সেগুলো পুরুষাঙ্গের শীর্ষ অঙ্গের ঠিক চিমটার মতো করে সামনের যে
চামড়ার বর্ধিত অংশ কাটা হবে সেখানটাই লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাতে করে বর্ধিত চামড়া
কাটার সময় যেন অতিরিক্ত রক্তপাত না ঘটে।
ছেদ: এবার সুরক্ষিতভাবে স্থাপন করা হয়ে গেলে চামড়া অপসারণের জন্য
চিহ্নিত রেখা বরাবর একটি সুনির্দিষ্ট ছেদ তৈরি করা হয়। এইবার জীবাণুমুক্ত ধাতব
অস্ত্র যেমন- খুর বা ধারালো ব্লেড দিয়ে বর্ধিত চামড়া কেটে ফেলা হয়। কিছু
কিছু ক্ষেত্রে খতিব কাটার অংশটুকু কে সিলাই করে দিয়ে থাকে। আবার কোন কোন
ক্ষেত্রে সেলাই করার প্রয়োজন মনে করে না এভাবেই সম্পূর্ণ হয় খাতনা
প্রক্রিয়াটি।
খাতনা বা মুসলমানি করার পর করণীয়
মুসলমানি করার পর ভালো হওয়া নিশ্চিত করার জন্য এবং জটিলতা রোধ করার জন্য
সঠিকভাবে খাতনা পরবর্তী যত্ন অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখানে কিছু সাধারণ
নির্দেশিকা রয়েছে যেমন-
- স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী বা খতিবের প্রদত্ত পরামর্শ বা নির্দেশনাবলী মেনে চলতে হবে। হালকা সাবান এবং পানি দিয়ে এলাকাটি আলতো করে পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য বা তীব্র সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য এন্টিবায়োটিক মলম অথবা মুখে খাবার এন্টিবায়োটিক বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে সংক্রমনের লক্ষণ যেমন- লালচে ভাব, ফোলা ফোলা ভাব, পুঁজ তৈরি হয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাতেও যদি সুবিধা মনে না হয় তাহলে দ্রুত একটি স্বাস্থ্যসেবার পরামর্শ নিতে হবে।
- খাতনার পরে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ভারী বা কঠোর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি দৌড়ঝাঁপ এই ধরনের খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোনভাবেই কাটার স্থানটিতে আঘাত বা চাপ না লাগে। এছাড়া যাতে পানি দ্বারা বারবার ভিজা না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
- সুন্নতে খাতনার পর অবশ্যই বাচ্চাকে ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করাতে হবে। এর কারণ হচ্ছে যেন ঘর্ষণ না লাগে পাশাপাশি অত্র এলাকায় বায়ু প্রবাহের ব্যবস্থা করে দিতে হবে যেন তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
- যদি তীব্র ব্যথা থেকে যায় তাহলে স্বাস্থ্যসেবার পরামর্শে অবশ্যই ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন করে ব্যথা অপসারণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্পন্ন ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যাতে খুব দ্রুতই সেরে ওঠে।
খাতনা বা মুসলমানী করার উপকারিতা
খাতনা বা মুসলমানি করার নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে যেমন-
ইউরিনারী ট্র্যাক্ট ইনফেকশন খাতনা না করার কারণে বাচ্চাদের
ক্ষেত্রে ইউরিনারী ট্রাক্ট ইনফেকশন বা মূত্রনালীর সংক্রমণ
হবার অনেক ঝুঁকি থেকে যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব খাতনা করিয়ে ইনফেকশন এর মত রোগের
ঝুঁকি থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করা সম্ভব।
যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস খাতনা করার ফলে বিভিন্ন ধরনের যৌন সংক্রমণ রোগ থেকে মুক্তি লাভ পাওয়া যায়। যেমন- এইচ আই ভি, এস টি আই, হিউমান পিলো, মহামা ভাইরাস এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই এই খাতনার বদৌলতে।
মারাত্মক সংক্রমণ হ্রাস এটি ফেমাসিস এবং ব্যালানাইটিস এর মত অবস্থা প্রতিহত করতে সাহায্য করে। ফেমাসিস হল চিকিৎসা গত অবস্থা যেখানে লিঙ্গের চামড়া সম্পূর্ণভাবে পিছনে দিকে টানা যায় না। এটি প্রায়শই জন্মগত হয়ে থাকে কিন্তু কখনো কখনো এটি বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বা ইনফেকশন ও আঘাতের কারণেও হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক এবং সময়ের সাথে সাথে নিজে নিজে
ঠিক হয়ে যায়। ফেমোসিয়াসের কারণে ব্যথা সংক্রমণ বা প্রস্রাব করার সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এবং প্রায়শই চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। আর ব্যালানাইটিস হলো পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে প্রদাহ বা ফোলা ভাব। সাধারণত এটি লিঙ্গের মাথা এবং কখনো কখনো পূর্ববর্তী চামড়ার অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, ডায়াবেটিস বা নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থের সাথে সংস্পর্শে ব্যালানাইটিস হতে পারে।
যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস খাতনা করার ফলে বিভিন্ন ধরনের যৌন সংক্রমণ রোগ থেকে মুক্তি লাভ পাওয়া যায়। যেমন- এইচ আই ভি, এস টি আই, হিউমান পিলো, মহামা ভাইরাস এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই এই খাতনার বদৌলতে।
মারাত্মক সংক্রমণ হ্রাস এটি ফেমাসিস এবং ব্যালানাইটিস এর মত অবস্থা প্রতিহত করতে সাহায্য করে। ফেমাসিস হল চিকিৎসা গত অবস্থা যেখানে লিঙ্গের চামড়া সম্পূর্ণভাবে পিছনে দিকে টানা যায় না। এটি প্রায়শই জন্মগত হয়ে থাকে কিন্তু কখনো কখনো এটি বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বা ইনফেকশন ও আঘাতের কারণেও হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক এবং সময়ের সাথে সাথে নিজে নিজে
ঠিক হয়ে যায়। ফেমোসিয়াসের কারণে ব্যথা সংক্রমণ বা প্রস্রাব করার সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এবং প্রায়শই চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। আর ব্যালানাইটিস হলো পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে প্রদাহ বা ফোলা ভাব। সাধারণত এটি লিঙ্গের মাথা এবং কখনো কখনো পূর্ববর্তী চামড়ার অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, ডায়াবেটিস বা নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থের সাথে সংস্পর্শে ব্যালানাইটিস হতে পারে।
ফেনাইল ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস খাতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এটি ফেনাইল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দারুণভাবে কাজ করে যদিও এই ধরনের ক্যান্সার খুবই বিরল।
উন্নত স্বাস্থ্যবিধি মুসলমানি দেয়ার কারণে এটি যৌনাঙ্গকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত সমস্যা গুলি থেকে রক্ষা করে।
পার্টনারদের ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে খাতনা করানো পুরুষদের মহিলা অংশীদারদের জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে, সম্ভবত PHV এর প্রকোপ কমে যাওয়ার কারণে।
মুসলমানি বা খাতনা করার খরচ সম্পর্কে
মুসলমানি বা খাতনা করার খরচ বিভিন্ন অবস্থান ভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন-
যদি আপনি খতিব দ্বারা খাতনা করে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার
মতো খরচ হতে পারে। আর যদি স্বাস্থ্যসেবা প্রধানকারীর মাধ্যমে বা ডাক্তারের
মাধ্যমে খাতনা করিয়ে থাকেন। তাহলে সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় উঠে আসে।
যেমন-
শহর বা অঞ্চলের উপর নির্ভর করে বিষয়টি।আর বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে খরচ
বেশি হতে পারে যেখানে সরকারি হাসপাতালে অনেকটাই কম খরচ হয়ে থাকে। আর খাতনা করার
পদ্ধতি ভিন্নতার কারণেও খরচ কিছুটা উঠানামা করে থাকে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবার
দ্বারা খাতনা করতে চাইলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
বেশি বয়সে খাতনা করার বিষয় সম্পর্কে
বেশি বয়সে খাতনা করার বিষয়টি সাধারণত তখনই বিবেচনা করা হয় যখন স্বাস্থ্যগত
কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন- কোন কোন ক্ষেত্রে
ব্যালানাইটিস, ফেমোসিস বা অন্যান্য ইউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। তবে বেশি
বয়সে খাতনা করলে জটিলতা দেখা দেয়। যেমন-
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে হয়। রক্ত পরীক্ষা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার
মাধ্যমে সার্জারি করা উপযোগী কিনা তা দেখে খাতনা করে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে
সাধারণত স্থানীয় অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহার করে খাতনা করা হয়। তবে কিছু
ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োজন হয়ে থাকে।
অস্ত্র পাচারের পর ব্যথা ও ফোলা দীর্ঘদিন থাকতে পারে সেক্ষেত্রে ব্যথা নাশক এবং
এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সবসময়ের জন্য খেয়াল
রাখতে হয়। যেন কোন সংক্রমণ সৃষ্টি না হয়। এ ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক মলম বা
ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। আর পুরোপুরি সুস্থ হতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়।
বেশি বয়সে খাতনার কিছু ঝুঁকি রয়ে যায়। যেমন- অস্ত্রপাচারের পর সংক্রমণ হওয়ার
ঝুঁকি থেকে যায়। রক্তপাত বন্ধ না হওয়ার কারণে অনেকে রক্ত শূন্যতায় ভুগে।
এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত ব্যথা এবং অস্বস্তিতে থাকতে হয়।
মুসলমানি বা খাতনা করার পর যে খাবার খাবেন
খাতনা করার পর রোগীকে যে ধরনের খাবার দেয়া উচিত তার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর
এবং পুষ্টিকর খাবার। যেমন- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মাছ, মুরগির ডিম এবং ডাল
প্রোটিনের ভালো উৎস প্রোটিন টিস্যু সংগঠনকে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া ফলে বিভিন্ন
ভিটামিন রয়েছে যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে
সহায়তা করে।
এই শাকসবজি ও ফল ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ যা দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে যেন শরীর ড্রিহাইডেশনে
না যায়। আর দুধ, দুই এবং পনির ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস। খেয়াল
রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত বা মশলাযুক্ত খাবার না খায় এগুলি পেটের
সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
উপসংহার
খতিব দ্বারা সুন্নতের খাতনা করানোর ফলে কয়েকটি উপকার পাওয়া যায় বিশেষ করে
ইসলামিক সম্প্রদায়ের মধ্যে তা বিরাজমান। যেমন- ধর্মীয় অনুশাসন পালন যা নবী করীম
(সা:) এর দ্বারা সুপারিশকৃত। এছাড়া খাতনা করার ফলে স্বাস্থ্যগত সুবিধা অনেক ভালো
থাকে। সামাজিক স্বীকৃতি মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ অংশ হচ্ছে খতনা করানো। এছাড়া
খতিব দ্বারা খাতনা করানোর
ক্ষেত্রে পরিষ্কার ও সুরক্ষার দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয় এবং খতিব দ্বারা
সুন্নতের জন্য জটিলতা অনেক কমে আসে। তাই বর্তমান বিশ্বের আগে যেমন- ৮০ এবং ৯০
দশকের মুরুব্বিরা সুন্নতে খাতনা সাধারণত খতিব দ্বারাই করিয়ে থাকতেন। তাই আমি মনে
করি বিচার বিবেচনার করে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি বা আপনার বাচ্চাকে কতটা
স্বাস্থ্যকর অবস্থায় এবং দ্রুত সেরে ওঠার বিষয়টা বিবেচনায় এনে সুন্নতে খাতনা
বা মুসলমানি করাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url