টাকা ইনকাম করার ১১টি সহজ উপায় বাংলাদেশে-২০২৪

 

টাকা ইনকাম করার ১১টি সহজ উপায় বাংলাদেশে-২০২৪। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রধানত দুই ভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। একটি হচ্ছে অনলাইন এবং অন্যটি হচ্ছে অফলাইন। হয়তো আপনি ভাবছেন কিভাবে পাব টাকা ইনকাম করার ১১টি সহজ উপায় বাংলাদেশে-২০২৪। টাকা ইনকাম করতে হলে টাকা বিনিয়োগ করতে হয় কিনা? তবে হ্যাঁ কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হয় আবার কিছু ক্ষেত্রে টাকা বিনিয়োগ ছাড়াও সময় কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।


ভাবছেন আপনি অশিক্ষিত বা মূর্খ হয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন? যদি সময়কে ঠিকমত কাজে লাগান এবং বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করা যায় তাহলে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, সময় ব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে সহজে টাকা ইনকাম করা কতটা সহজ। এই পোষ্টে টাকা ইনকামের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোকপাত করবো।

পেজ সূচিপত্র: টাকা ইনকাম করার ১১টি সহজ উপায় বাংলাদেশে-২০২৪

ইন্টারনেট ব্যবহার করে টাকা ইনকাম

ইন্টারনেট ব্যবহার করে টাকা ইনকাম হচ্ছে টাকা ইনকাম করার ১১টি সহজ উপায় বাংলাদেশে-২০২৪ এর মধ্যে অন্যতম একটি উপায়। ইন্টারনেট এমন একটি মাধ্যম যা ব্যবহার করে মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারে। তেমনি আবার ক্ষতিগ্রস্ত ও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে আপনার মানসিকতার উপর। যদি আপনি ভালো কিছু চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে অবশ্যই ভালো ফল পাওয়া যাবে। আসুন ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ইনকাম মুখী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করি।

ওয়েবসাইটে লেখালেখি করা:
ইন্টারনেট ব্যবহার করে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে তাতে নিয়মিত লেখালেখি করে আপনি টাকা উপার্জন করা যেতে পারেন। যেমন ব্লগিং, আর্টিকেল লেখা, সার্ভে রিভিউ ইত্যাদি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম:
ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে যদি আপনি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ নিতে পারেন। যেমন আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি সাইডে রেজিস্ট্রেশন করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ই-কমার্স বিক্রি:
এই ইন্টারনেটের বদৌলতে নিজের ই-কমার্স সাইট তৈরি করুন। আর সেই সাইটে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আফিলিয়েট মার্কেটিং:
আফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া। এই ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে আপনি পণ্যের প্রচার করে, প্রতি বিক্রির হিসাব নিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমন অ্যামাজন আফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
ই-বুক লেখা বা বিক্রি:
নিজস্ব ই-বুক লিখে স্থানীয় বা গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে সেই ই-বুক বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ইনস্ট্রাকশন ভিডিও তৈরি:
নেট ব্যবহারের মাধ্যমে ইউটিউব বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে যেমন- বিজ্ঞাপন, শিক্ষা, বিনোদন, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে তা পাবলিস্ট করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইন সার্ভে প্রদান:
আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনে পরামর্শ দিতে পারেন। যেমন- কাউন্সিলিং, ফিটনেস, ট্রেনিং ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন গেম:
অনলাইন প্লাটফর্মে কিছু গেম প্লাটফর্ম রয়েছে। সেইসব গেমের টুর্নামেন্ট থেকে আপনি টুর্নামেন্ট জিতে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ইনফরমেশন পণ্য বিক্রি:
ইন্টারনেট কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সরবরাহ করার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:
আপনি এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচারের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন পূর্ণসংস্কার:
বিভিন্ন অনলাইন কোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে অনলাইন পাঠশালা রয়েছে সেগুলোতে শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়া:
ইন্টারনেট থাকার সুবিধাতে আপনি যেখানেই থাকেন না কেন সেখান থেকেই অন্য ব্যক্তির হয়ে কাজ করে দিতে পারেন। এভাবেও টাকা ইনকাম করা যায়।
অনলাইন অপশন ট্রেডিং:
ইন্টারনেটের বদৌলতে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ট্রেডিং। এই ট্রেডিং এ কিছু অর্থ বিনিময় এর মাধ্যমেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন, যদি আপনি দক্ষ হন।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি:
আপনি যদি দক্ষ হন সে ক্ষেত্রে পেশাদার ছবি বা ভিডিও তৈরি করে ও আপনি আয় করতে পারেন।
অনলাইন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি:
বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আপনি স্বনির্মিত পণ্য বা সেবা প্রদান করে অনলাইন থেকে এই ইন্টারনেটের বদৌলতে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইন প্লাটফর্মে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে একটি মাধ্যম হল ওয়েবসাইট। সেখান থেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রন্থা অবলম্বন করে টাকা উপার্জন করা যায়। জেনে নেওয়া যাক ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়-

এডসেন্স বা অন্য বিজ্ঞাপনের প্রোগ্রাম ব্যবহার করা: ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে আপনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য আরো উপায় রয়েছে যেমন- আপনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রযুক্তিবিদ্যা, ব্যবসা নীতি, বা অন্যান্য লেখালেখি করার মাধ্যমে যেমন টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়া এই এডসেন্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন এবং ভিউয়ারদের দ্বারা ক্লিক করা হলে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।

স্পন্সর শিপ প্রোগ্রাম: আপনার ওয়েবসাইটটিতে অন্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা বিজ্ঞাপন করার মাধ্যমে তাদের পণ্যের বিক্রির পাশাপাশি আপনারও টাকা উপার্জন হবে।

স্বল্প লিংক সংযোগ: অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে স্বল্প লিংক সংযোগ করার মাধ্যমেও আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন।

মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম: আপনার ওয়েবসাইটে অন্য মেম্বারশিপ চালু করে সেই মেম্বারদের জন্য বিশেষ কন্টেন্ট বা সেবা দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।

স্বতন্ত্র প্রকল্প: আপনার ওয়েবসাইটের স্বতন্ত্র প্রকল্প চালু করে মানুষের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে যেমন ওয়েবসাইটের ডিজাইন, এপ্লিকেশন, ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।

ওয়েবসাইট বিক্রয়: একাধিক ওয়েবসাইট তৈরি করে যদি ওয়েবসাইট গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে পোটেনশিয়াল ক্রেতাদের কাছে তা উচ্চ দামে বিক্রি করতে পারে এবং সেখান থেকেও আয় করা সম্ভব। 

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে টাকা ইনকামের সহজ উপায়

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে আপনি বেশ কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই উপায় গুলো-

ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মে নিজের ইচ্ছা স্বাধীন কাজ করে টাকা ইনকাম করা। এক্ষেত্রে আপনি, আপনার ফাইবার প্ল্যাটফর্মে একটা একাউন্ট খুলে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমন- গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি আবার অপওয়ার্ক নামে একটি প্ল্যাটফর্মে ও আপনি একটি অ্যাকাউন্ট করে বিভিন্ন ধরনের কাজ পেতে পারেন এবং টাকা ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইন সার্ভে: এক্ষেত্রে Swagbucks নামে মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে সার্ভে পূরণের মাধ্যমে, ভিডিও দেখে এবং অন্যান্য কার্যক্রম করার মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন। এই পয়েন্ট পরবর্তীতে টাকাতে কিংবা গিফট কার্ডে রূপান্তরিত করে নিতে পারেন। আবার Toluna নামে একটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এখানে বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে এবং অন্যান্য কার্যক্রম করেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

ক্যাশব্যাক এবং রিওয়ার্ড অ্যাপ: এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস বা প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলতে হয় যেমন Rakuten  নামে মার্কেটপ্লেসে কেনাকাটা করলে আপনি ক্যাশব্যাক পাবেন আবার Ibotta        তে কেনাকাটার রিসিপ্ট আপলোড করে আপনি ক্যাশব্যাক পেতে পারেন।

গেম খেলা: এক্ষেত্রে কিছু অ্যাপস রয়েছে এসব অ্যাপসে আপনি গেম খেলে পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন। যেমন Mistplay নামে একটি অ্যাপস যেখানে নিয়মিত গেম খেলে পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন। যা পরবর্তীতে গিফট কার্ডে রূপান্তরিত করে টাকা ইনকাম করা যায়। পাশাপাশি Lucktastic অ্যাপসে বিভিন্ন লটারি এবং ইনস্ট্যান্ট উইন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়।

অনলাইন টিউশন: এক্ষেত্রেও কিছু অ্যাপস রয়েছে যেমন Chegg Tutors আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে খুবই দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি এই অ্যাপসে গিয়ে কাউকে টিউটর হিসেবে  টিউশন দিতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকাম হবে। এছাড়া VIPKid নামে একটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে ইংরেজি শিখানোর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

কনটেন্ট ক্রিয়েশন: এক্ষেত্রে দুটি আপ্স যেমন- ইউটিউব এবং টিকটক, এগুলোতে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আবার টিক টকে শর্ট ভিডিও তৈরি করে স্পন্সরশীপ বা ব্র্যান্ড ডিল করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ব্লগিং: এক্ষেত্রে ব্লগারে একটি একাউন্ট ক্রিয়েটের মাধ্যমে ব্লক তৈরি করে এডসেন্স হবার পর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস আরেকটি ব্লগিং এর জন্য সুন্দর প্ল্যাটফর্ম এখানে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেবেন।

এই উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে বিভিন্ন উপায় এর মধ্যে কোন একটি বা একাধিক পদ্ধতি খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করে যদি আপনি কাজ করতে পারেন অবশ্যই আপনার টাকা ইনকাম হবেই হবে।

ফেসবুক ব্যবহার করে সহজেই ইনকাম করা যায়

অনলাইনের আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক এই ফেসবুক ব্যবহার করেও আপনি অনায়াসে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তেমনি কয়েকটি ইনকাম করার উপায় নিচে উল্লেখিত হলো-

ফেসবুক এডসেন্সের: ফেসবুকের ভিডিওগুলোতে আপনি ইন-স্ট্রিম অ্যাডস ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ভিডিও গুলোর মধ্যে এড দেখানো হবে এই প্রতিটি এডের ভিউ থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।

স্পন্সরড কনটেন্ট: এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন এভাবে যে তাদের স্পন্সরড কন্টেন্ট পোস্ট করে দেবেন। বিনিময়ে তারা আপনাকে টাকা প্রদান করবে। এছাড়াও আপনি সরাসরি ব্র্যান্ড থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আফিলিয়েট মার্কেটিং: এক্ষেত্রে আপনি ফেসবুককে মাধ্যম বানিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন এভাবে যে তাদের পণ্য বা সেবা প্রমোট করে দিবেন বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন। যেমন- আমাজন, আলী এক্সপ্রেস বা অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে এটি করা সম্ভব।

ফেসবুক গ্রুপ মনিটাইজেশন: আপনার ফেসবুক গ্রুপের যে মেম্বার রয়েছে, তাদের কাছ থেকে আপনি সাবস্ক্রাইব বা সাবস্ক্রিপশন ফ্রী বা অন্যান্য চার্জ নিতে পারেন। এছাড়া স্পন্সরশীপ বা পেইড পোস্টের মাধ্যমেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস: ফেসবুক পেজে একটি মার্কেটপ্লেস তৈরি করে সেখানে আপনি বিভিন্ন পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে পারেন এভাবে ইনকাম সম্ভব।

ফেসবুক স্টারস: আপনার ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিমিং ভিডিও গুলোতে ফেসবুক স্ট্যাটাস ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে দর্শকরা আপনাকে স্টারস পাঠিয়ে আপনার কনটেন্ট সাপোর্ট করতে পারে এবং আপনি স্টারগুলোকে টাকায় রূপান্তরিত করে নিতে পারেন।

ফেসবুক অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: আপনার ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করে সেগুলি থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন বিক্রির মাধ্যমে। আপনার অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাড বা ইন অ্যাপ পার্সেস যোগ করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ইভেন্ট টিকেট সেলিং: আপনার ফেসবুক পেজে ইভেন্ট ক্রিয়েট করে টিকিট বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে এটি ভার্চুয়াল বা ইন পারসন ইভেন্টের জন্য কার্যকর।

ফ্যান সাবস্ক্রিপশন: আপনার ফেসবুক পেজের, যে ফলোয়ার গুলো রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে কন্টেন্ট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন এবং তাদের থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে পারেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে আয়ের জন্য আপনার কনটেন্ট কোন গুণগতমান এবং আপনার ফলোয়ারদের ইন্টারেস্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে এতে সফলতা পেতে হলে নিয়মিত ও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।

ইউটিউব ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা যায়

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে এই উপায় গুলো এখানে আলোচনা করা হলো-

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম: আপনার ইউটিউব চ্যানেলের পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চ্যানেলের পক্ষে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হতে হবে।

চ্যানেল মেম্বারশিপ: আপনার ইউটিউব চ্যানেল মেম্বারশিপ চালু করে আপনার যে সাবস্ক্রাইবারগুলো রয়েছে তাদের থেকে মাসিক সাসক্রিপশন ফ্রী নিয়ে এর মাধ্যমে এক্সিকিউটিভ কন্টেন্ট প্রদান করা হয়। এভাবেও টাকা ইনকাম করা যায়।

সুপার চ্যাট এবং সুপার টিকার: লাইভ স্ট্রিমিং এর সময় দর্শকরা সুপার চ্যাট ও সুপার স্টিকার কিনে চ্যাটে হাইলাইটেট মেসেজ পাঠাতে পারে। এখান থেকেও অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

মার্চেন্ডাইজ: যদি আপনার নিজস্ব কোন ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন বা চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে মার্চেন্ডাইজ যেমন টি-শার্ট, মগ পোস্টার ইত্যাদি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইন কোর্স বা ওয়েবিনার: যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের উপর দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে তা অনলাইন কোর্স বা ওয়েবিনার তৈরি করার মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়।

ক্রাউডফান্ডিং: পাট্টিয়ন বা কিকস্টার্টারের মতো ক্রাউডফাইন্ডিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সমর্থকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা যায়।

লাইসেন্সিং কনটেন্ট: আপনার তৈরি ভিডিও বা কনটেন্ট গুলোকে বিভিন্ন মিডিয়া, কোম্পানি বা সংস্থার কাছে লাইসেন্সিং করে টাকা আয় করা যায়।

ইউটিউব প্রিমিয়াম রেভিনিউ: ইউটিউব প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীরা যদি আপনার কনটেন্ট দেখে তবে সেই ভিউ থেকেও আপনি টাকা আয় করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সহজে ইনকাম করার কিছু অ্যাপস

সোশ্যাল মিডিয়ায় সহজে ইনকাম করার জন্য কিছু অ্যাপস ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অ্যাপস এর নাম এবং সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

ইউটিউব: ইউটিউব এ সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করুন এবং আপনার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন। এছাড়া এতে এড রেভিনিউ, স্পন্সারশিপ এবং আফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়।

ইনস্টাগ্রাম: ইনস্টাগ্রাম সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা আছে, এখানে স্পন্সর পোস্ট আফিলিয়েট মার্কেটিং, প্রোডাক্ট রিভিউ এবং ইনস্টাগ্রাম শপ ব্যবহার করে সহজে ইনকাম করা যায়।

টিকটক: টিকটক সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি টিকটকের স্পন্সর, কনটেন্ট, লাইভ গিফটিং ব্র্যান্ড ডিল, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে সহজেই ইনকাম করা যায়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে টাকা ইনকামের। যেমন- শর্ট ভিডিও, চ্যালেঞ্জ, ডুয়েট, ভিডিও ইত্যাদি সুন্দরভাবে তৈরি করে পাবলিস্ট করেও ইনকাম করা যায়।


Patreon: আপনি সফল ক্রিয়েটর হয়ে প্যাট্রিয়নে আপনার কনটেন্ট সাবস্ক্রাইবারদের জন্য প্রদান করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে সাবস্ক্রিবশন ফি আপনি আয় করতে পারেন।

আপওয়ার্ক এবং ফাইবার: বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ, যেমন- লিখালিখি, ভিডিও এডিটিং, ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজের জন্য আপওয়ার্ক এবং ফাইবার ব্যবহার করে প্রফেশনাল সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে আপনি খুব সুন্দর ইনকাম করতে পারেন।

আরো পড়ুন: কাসাভা বা শিমুল আলুর সম্পর্কে ১৬টি অজানা তথ্য

এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে সফলতা পেলে হলে পেতে হলে আপনাকে ধৈর্য্য এবং কঠোর পরিশ্রম এবং কনসিসটেন্সি দরকার। প্রতিদিন নতুন কনটেন্ট তৈরি করা, ফলোয়ারদের সাথে ইন্টারেকশন করা এবং সঠিক কৌশল প্রয়োগ করে আপনে সহজেই ইনকাম করতে পারেন।

আপওয়ার্ক এবং ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম

আপনি যদি অনলাইন প্লাটফর্ম সম্পর্কে খুবই অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তার একটি দুটি উদাহরণ হচ্ছে আপ ওয়ার্ক এবং ফাইবার নামক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই দুটি প্লাটফর্ম থেকে আপনে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট:

ওয়েবসাইট তৈরি এবং তার ডিজাইন করার কাজে আপওয়ার্ক খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে HTML,CSS, JavaScript  এবং বিভিন্ন CMS যেমন- ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

১। গ্রাফিক্স ডিজাইন

এই ধরনের প্লাটফর্মে লোগো ডিজাইন, ব্যানার তৈরি, ব্রেন্টিং এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। ফটোশপ ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি সফটওয়্যার এর দক্ষতা থাকলে এই কাজ করে আপনি ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারেন।

২। কনটেন্ট রাইটিং

এই ধরনের প্লাটফর্মে ব্লগপোস্ট, আর্টিকেল, কপিরাইটিং, ডাটা এন্ট্রি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের লেখার প্রয়োজন হয় আপনার লেখার দক্ষতা থাকলে আপনি কনটেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৩। ডিজিটাল মার্কেটিং

এই ধরনের প্লাটফর্মে SEO, SEM, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে। মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকলে তা কাজে লাগিয়ে আপনি মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারেন।

৪। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

বিভিন্ন ধরনের এডমিনিস্টেটিভ কাজ যেমন- ডাটা এন্ট্রি, ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজ করে আপনি টাকা আয় করতে পারেন। কেননা এসব কাজের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর অনেক চাহিদা রয়েছে।

৫। ভিডিও এডিটিং

এই ধরনের প্লাটফর্মে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির জন্য ভিডিও এডিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রিমিয়ার প্রো, ফাইনাল কাট প্রো ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং এ কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন।

৬। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

অ্যান্ড্রয়েড এবং আই ও এস অ্যাপ তৈরি করার দক্ষতা থাকলে আপনি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জাভা, কটলিন,সুইফট ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানা থাকা অত্যন্ত জরুরী।

৭। ট্রান্সলেশন সার্ভিস

পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষাভাষীর লোক রয়েছে। বিভিন্ন ভাষা থেকে অনুবাদ করার কাজের চাহিদাও রয়েছে অনেক। এইসব প্লাটফর্মে যদি আপনি একাধিক ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ট্রান্সলেট করেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

৮। কাস্টমার সার্ভিস

আপওয়ার্ক এবং ফাইবারের মতো প্লাটফর্মে কাস্টমার সাপোর্ট এবং কাস্টমার সার্ভিস এই কাজের জন্য অনেক চাহিদা রয়েছে। কল সেন্টারে আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে বা ভালো যোগাযোগের দক্ষতা থাকলে আপনি এটি কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আপওয়ার্ক বা ফাইবারের মতো প্ল্যাটফর্মে সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পেশাদারী ভাবে প্রোফাইলটি সাজাতে হবে। একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করুন এবং ক্লাইন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন।

ফুটপাতে ব্যবসা করে টাকা ইনকাম 

ফুটপাতে ব্যবসা করে বাংলাদেশের অনেক বেকার, শিক্ষিত, যুবক-যুবতী এছাড়া বয়স্ক মানুষ পাশাপাশি মহিলারাও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে স্বনির্ভর হতে পারে এবং ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারে। ফুটপাতে ব্যবসা করার অনেক ধরনের উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফুটপাতে কি ধরনের ব্যবসা করে সহজে ইনকাম করা যায়-

ফল বা সবজি বিক্রি: স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি পণ্য সরাসরি কিনে নিয়ে ফুটপাতে বিক্রয় করে ভালো লাভ করা যায়।

স্টিট ফুড বিক্রি: এই ধরনের খাবার অনেক মানুষ পছন্দ করে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে চটপটি, ফুচকা, ভেলপুরি, সিঙ্গারা, মোচা, ছোলা ভাজা, পুরি, সিঙ্গারা ইত্যাদি খাবার ফুটপাতেই তৈরি করে বিক্রি করে অনেক লাভবান হওয়া যায়।

বই বিক্রয়: বিশেষ করে বাচ্চাদের বই, পাঠ্য বই, গল্পের বই, উপন্যাস, কৌতুকের বই, ম্যাগাজিন বিভিন্ন ধরনের বই ফুটপাতে বিক্রি করেও ইনকাম করা যায়। 

গার্মেন্টস পণ্য বিক্রি: আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। সমর্থ অনুযায়ী তারা ফুটপাত থেকে জামা কাপড় কিনে থাকে। যেমন- প্যান্ট, থ্রি পিস, জামা, বাচ্চাদের বিভিন্ন টি-শার্টের আইটেম, শাড়ি, লুঙ্গি ইত্যাদি বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করা যায়।

ফুল বিক্রয়: বিশেষ বিশেষ দিন উপলক্ষে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের ফুল বিক্রি করা যেতে পারে। যেমন- পহেলা বৈশাখ, ভ্যালেন্টাইনস ডে, শহীদ দিবস এ ধরনের বিভিন্ন দিনকে সামনে রেখে ফুটপাতে ফুল বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়।

চশমা বা সানগ্লাস বিক্রি: সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আপনি ফুটপাতে একটা পজিশন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সানগ্লাস এবং চশমা বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

জুতা বিক্রি: আমরা সচরাচর সব ধরনের বা সব শ্রেণীর মানুষই জুতা সান্ডেল ব্যবহার করে থাকি। তাই বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষই ফুটপাত থেকে আকর্ষণীয় দামে জুতা কিনে থাকেন। এই জুতার ব্যবসা করেও লাভবান হওয়া যায়।

গৃহস্থালি সামগ্রী বিক্রি: আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু গৃহস্থালী পন্য সবসময় আমাদের কাজে লাগে। যেমন- প্লাস্টিকের পাত্র, বালতি, ঝাড়ু, মগ, জগ, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি প্লাস্টিকের সামগ্রী বা অন্যান্য লোহার সামগ্রী নিয়ে যদি ফুটপাতে ব্যবসা করা যায় সে ক্ষেত্রে অনেক লাভবান হওয়া যায়।

বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি: সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যবসা হচ্ছে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলনার আইটেম নিয়ে ফুটপাতে বসে বা ফেরি করে বিক্রি করেও লাভবান হওয়া যায়।

মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি: এখন কম বেশি সবার হাতেই ফোন দেখা যায় হোক সেটা বাটন ফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড। তবে সেক্ষেত্রে ফোনের বিভিন্ন জিনিস প্রয়োজন হয়ে যায়। যেমন- চার্জার, হেডফোন, মোবাইল ব্যাকপ্যাক, স্কিন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করলেও ভালো লাভ হয়।

মাটির বা পাথরের জিনিসপত্র বিক্রি: বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করে তা বিক্রি করা যেতে পারে। যেমন- মাটির তৈরি এখন অনেক ধরনের শোপিস পাওয়া যায় এবং পাথরের তৈরি অনেক শোপিস পাওয়া যায় এই শোপিস গুলো নিয়ে যদি ফুটপাতে ব্যবসা করা হয় তবে অল্প ইনভেস্টে ভালো ইনকাম হয়।

পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি: এক্ষেত্রে পুরাতন জিনিসপত্র ফুটপাতে বিক্রি করতেই দেখা যায় যেমন জামা কাপড়, ইলেকট্রনিক্স, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বই, পেপার এক কথায় বলা হয় ভাঙ্গারির দোকান। এই দোকান দিয়েও ভালো লাভ করা যায়।

ফোন রিচার্জ বা মোবাইল ব্যাংকিং: মানুষ সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। যেমন ফোন রিসার্জ, ফোনের ব্যবহার, পাশাপাশি বিকাশ, রকেট, নগদ বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট নেওয়া বা দেয়া এই ধরনের বিভিন্ন কার্যক্রম ফুটপাতে বসে ব্যবসায়িকভাবে লাভ করা যায়।

মেরামত টেকনিশিয়ান: সবচেয়ে বেশি ইনকাম হচ্ছে মেরামত টেকনিশিয়ানদের। এরা বিশেষ করে ফুটপাতে দোকান দিয়ে বসে। এতে তাদের অনেক লাভ হয় যেমন- মোবাইল ফোন মেরামত করা, ঘড়ি মেরামত করা, জুতা মেরামত করা, ল্যাপটপ মেরামত করা, টেলিভিশন মেরামত করা, ফ্যান মেরামত করা, ফ্রিজ মেরামত করা ইত্যাদি ইত্যাদি যন্ত্রাংশ মেরামতের জন্য ফুটপাতে ব্যবসা করায় অনেক লাভবান হওয়া যায়।

ফলের জুস: ফুটপাতের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস বানিয়েও আপনি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার শিক্ষিত হতেই হবে তেমন কোন কথা নেই আপনার কাজের অভিজ্ঞতাই আপনাকে বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করতে সহযোগিতা করে থাকবে।

কপি ও চা বিক্রি: ফুটপাতের কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় আপনি একটি কপি বা চায়ের স্টল দিয়ে সুন্দরভাবে টেস্টি চা বা কপি পরিবেশন করার মাধ্যমে ভালো ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার খেয়াল রাখতে হবে যেন স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে চা পরিবেশন করেন। 

ঝাল মুড়ি ভাজা: এক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট স্থানে স্টল তৈরি করেও এই ব্যবসা করতে পারেন। যেমন- একটি ডালিতে ঝালমুড়ি এবং চানাচুর ভাজা নিয়ে মুখরোচক ভাবে যদি বানিয়ে যদি দিতে পারেন। তবে সেখান থেকেও আপনি ভাল ইনকাম করতে পারবেন।

সিদ্ধ ডিমের ব্যবসা: আপনি যদি কৌশলী হন তবে ছাত্রাবস্থাতেও আপনি ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি জনবহুল কোন মোড়ে একটি ছোট্ট স্টল নিয়ে তাতে বিভিন্ন ধরনের ডিম যেমন মুরগির ডিম, হাঁসের ডিম, কোয়েল পাখির ডিম এ ধরনের ডিম সিদ্ধ করে বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মেয়েদের টাকা ইনকাম করার উত্তম উপায়

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের জন্য টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে অনলাইনের বাইরেও অনেক সুযোগ রয়েছে এর মধ্যে কয়েকটি কাজের কথা উল্লেখ করা হলো-

কারুশিল্প ও হস্তশিল্প ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশের মেয়েরা টাকা ইনকাম করতে পারে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প যেমন- নকশি কাঁথা, কাঠের তৈরি পণ্য, মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের পাত্র এসব তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারে।

কাপড় সেলাই করা এবং ডিজাইন করা মেয়েরা একটি নিজস্ব সেলাই মেশিন কিনে কাপড় সেলাই করে এবং তাতে ডিজাইন তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারে।

কুকিং ও বেকিং সুন্দর আইটেমে বাসায় তৈরি খাবার, কুকিং পেস্টিং ইত্যাদি তৈরি করে তা সরবরাহ করার মাধ্যমেও মেয়েরা টাকা ইনকাম করতে পারে।

বিউটি পার্লার বিউটি পার্লারের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিউটিশিয়ান হওয়ার মাধ্যমে মেয়েরা ঘরেতে কিংবা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বিউটি পার্লার দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারে।

স্বাস্থ্য সচেতনতাই ভূমিকা আমাদের দেশের অনেক মহিলা আছেন যারা স্বাস্থ্য সচেতন। তাদের জন্য যোগব্যায়াম ও ফিটনেসের প্রশিক্ষক হিসাবেও নিজেকে গড়ে তুলে মহিলাদের নিয়মিত ব্যায়ামের ভালো প্রশিক্ষক হিসাবে গড়ে তুলেও টাকা ইনকাম করা যায়।

ডে কেয়ার সেন্টার অনেক ফ্যামিলির হাজব্যান্ড এবং ওয়াইফ দুজনে জব করায় বাচ্চাদের দেখাশোনার করার মতো কেউ থাকেনা। সে ক্ষেত্রে ডে কেয়ার সেন্টার তৈরি করলে সেখানে বাচ্চাদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েও টাকা ইনকাম করা যায়।

কৃষি কাজ গ্রামীন এলাকায় থেকেও মেয়েরা বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারে। যেমন- কৃষি কাজ করে পন্য উৎপাদন করে পাশাপাশি সবজি চাষ, হাঁস মুরগি চাষ, ছাগল পালন বিভিন্ন ধরনের কৃষি কাজে সময়ও শ্রম দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারে।

ফুলের বাগান ছোট্ট একটা জায়গায় ফুলের বাগান করেও সেই ফুল বাজারে বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।

বিউটি প্রোডাক্ট তৈরি করা এবং বিক্রি করা কিছু বুদ্ধিমতী মেয়েরা প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা বিউটি প্রোডাক্ট যেমন- সাবান, লোশন, ফেসমাক্স, তেল ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারে। 

আরো পড়ুন: সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার গুরুত্বপূর্ন ১৫টি উপকারিতা

বেকারদের টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

বাংলাদেশে বেকারত্বের সংখ্যা অনেক বেশি তাই বসে না থেকে সময় ও শ্রম দিয়ে আপনি বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের বেকাররা যেভাবে টাকা ইনকাম করবে-

প্রাইভেট টিউশন বাড়িতে কিংবা একটু দূরে হলেও স্কুল বা কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন দেয়ার মাধ্যমে হচ্ছে একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক। এভাবে সময় দিও টাকা ইনকাম করা যায়।

ছোট ব্যবসা বসে থেকে সময় নষ্ট না করে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করা দরকার। যেমন গ্রোসারী শপ, চায়ের দোকান বা কসমেটিকের দোকান দিয়ে অল্প পুঁজিতে ভালো লাভ পাওয়া যায়।

ডেলিভারি সেবা প্রদান বিভিন্ন কোম্পানি বা রেস্টুরেন্টের বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারি ম্যান হিসাবে নিয়োজিত হয়েও টাকা আয় করা যায়।

রাইড শেয়ারিং যদি মোটরসাইকেল বা কোন গাড়ি থেকে থাকে তাহলে রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং ফটোগ্রাফি ফটোগ্রাফি পেশাটা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে পার্টি, বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফি করেও টাকা ইনকাম করা যায়।

গার্মেন্টস ওয়ার্কার আমাদের দেশের গার্মেন্টস সেক্টরটা বিশ্বমানের। তাই গার্মেন্টসে ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করেও টাকা ইনকাম করা যায়।

ড্রাইভিং বাংলাদেশের দিনদিন কার, বাস, ট্রাকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে তাই সুন্দর বা ভালো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভালো ড্রাইভিং শিখে পেশাদার ড্রাইভার হয়েও অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

শ্রমিক কাজ যদি সুস্থ ও সবল হয়ে থাকেন তবে বহুতম ভবন নির্মাণ এবং অন্যান্য কাজে শ্রমিক হিসাবে নিয়োজিত থেকেও টাকা ইনকাম করা যায়।

ভাঙ্গারি ব্যবসা ব্যবহারের অযোগ্য উপকরণগুলো সংগ্রহ করে তা বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করা যায়।

পরিবহন সেবা শরীর সুস্থ থাকলে সাইকেল, রিক্সা, ভ্যান গাড়ি বা অটোরিকশা চালিয়ে ও টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

অংশকালীন চাকরি যদি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে থাকেন। সেই চাকরির পাশাপাশি আপনে পার্ট টাইম কাজ করে যেমন- বিক্রয় কর্মী বা দোকানের সহকারী হিসেবে কাজ করে ও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

উপরোক্ত উপায় গুলোর মাধ্যমে কোন প্রকার বিনিয়োক ছাড়াই স্থানীয়ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

মুর্খ মানুষের টাকা ইনকাম করার কৌশল

বাংলাদেশে অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা অনেক। এদের জন্য টাকা ইনকামের ক্ষেত্রে কিছু সহজ উপায় বা কৌশল রয়েছে নিচে তার আলোকপাত করা হলো-

চারা গাছ ও ফল বিক্রয় গ্রামে অথবা শহরে যদি ছোট্ট জায়গা থেকে থাকে তাহলে সেখানে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ফলের গাছ লাগিয়ে এবং নার্সারি করে সেগুলোকে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যায়। 

দেশি মুরগি ও পোল্টি মুরগির চাষ এক্ষেত্রে পোল্ট্রি মুরগি চাষের ধারণা নিতে হবে এবং তার সাহায্যে দেশি মুরগি এবং পোল্টি মুরগির চাষ করে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

ছোট দোকান অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে একটি ছোট দোকান খুলুন এবং সাধারণ পণ্য যেমন চা, মসলা, বিউটি সামগ্রী, আইসক্রিম, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রেখে বিক্রয়ের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।

বিদ্যুৎ রিপিয়ার ও সার্ভিসিং আমাদের দেশে বিদ্যুৎ রিপিয়ারিং এবং ওয়ার্নিং এর কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই কাজটি যদি ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে শিখতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।

পর্যটন পরিষেবা আপনার ছোট্ট পরিসরে আগে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করুন এবং পর্যটন সেবা প্রদান করুন যেমন হোটেল পর্যটন, গাইডিং, প্যাকেজ, ভ্রমণ বিভিন্ন ধরনের পর্যটন সম্পর্কিত সেবা প্রদান করেও টাকা ইনকাম করা যায়।

গাড়ির সার্ভিসিং যেহেতু মানুষ এখন অনেক সৌখিন তাই যাদের সামর্থ্য আছে তাদের সামর্থ্য মোতাবেক তারা গাড়ি ব্যবহার করে থাকে। এই গাড়ি বিভিন্ন কারণে সমস্যায দেখা দেয়। এর জন্য সার্ভিসিংএর প্রয়োজন হয়। যেমন মোটরসাইকেল, কার গাড়ি ইত্যাদি গাড়ি সার্ভিসিং করেও ভালো টাকা ইনকাম করা যায়।

ব্যক্তি সেবা প্রধান ব্যক্তিসেবা বলতে যেমন- গৃহকর্মী, পরিষ্কারকর্মী, বাচ্চাদের যত্ন এবং সংগীত শিক্ষা দিয়েও টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিবেশন স্বাস্থ্যকর খাদ্যের বড়ই অভাব। তাই যদি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বিভিন্ন অফিস, অফিসের সার্ভিস সেন্টারে টিফিন সেবা বা ফাস্টফুড বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

হাতে তৈরি পণ্য বিভিন্ন ধরনের আইটেম দিয়ে হাতে তৈরি পণ্য আপনার স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারেন। যেমন জুতা, আস পূর্ণ, আম দিয়ে তৈরি পণ্য ইত্যাদি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়।

শেষ কথা:

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি কিন্তু কাজের ক্ষেত্র অনেক কম। তাই সময় নষ্ট না করে ঘরে বসে বা বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করুন। টাকা ইনকামের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আমি উপরে আলোচনা করেছি। অফলাইন কিংবা অনলাইন যে কোন একটি বেছে নিয়ে আপনি একনিষ্ঠ ভাবে যদি কাজ করেন, তবে আপনার সময় এবং শ্রম বৃথা যাবে না। এক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে ধৈর্য। সততার সাথে ধৈর্য ধরে যদি আপনি কাজ করে যান তাহলে আপনার ইনকাম আসবেই আসবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url