কাসাভা বা শিমুল আলুর উপকারিতা সম্পর্কে ১৬টি অজানা তথ্য

 

কাসাবা বা শিমুল আলুর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা প্রায় অনেকেই তেমন কিছু জানি না। সাধারণত শিমুল মূল সম্পর্কে জানি কিন্তু শিমুল আলু সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। এই শিমুল আলুর অনেক উপকারী দিক রয়েছে মানুষের জন্য। এছাড়া নানাবিধ ঔষধি গুণ রয়েছে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে

শিমুল আলুর সারা বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত। আটার পরিবর্তে শিমুল আলুর চূর্ণ এখন বিশ্বব্যাপী অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাশাপাশি আমাদের দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে শিমুল আলোর চাষ করা হচ্ছে এতে করে মালিকপক্ষ এবং শ্রমজীবী মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন তৈরি হচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিমুল আলুর বিস্তারিত সম্পর্কে-

পেজ সূচিপত্র: কাসাভা বা শিমুল আলুর সম্পর্কে ১৬টি অজানা তথ্য

ভূমিকা:

শিমুল আলু দেখতে দেশীয় মিষ্টি আলুর মতো ও উপরে শিমুল গাছের পাতার মতই হচ্ছে শিমুল আলুর গাছ বা কাসাভা গাছ। আফ্রিকা অঞ্চলের ফসল হল কাসাভা। এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে, তবে এটি ভারতে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়। কাসাভা চাষ করেও প্রচুর মুনাফা অর্জন করা যায়। জানা গেছে প্রতি বিঘা জমিতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় করা যায়। এতে বিঘাপতি খরচ হয় মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।সে ক্ষেত্রে মালিকের সাথে সাথে শ্রমজীবী মানুষগুলো লাভবান হচ্ছে।

শিমুল আলু উচ্চ মানের শর্করা জাতীয় খাবার এতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।দেশের সুনামধন্য কোম্পানি যেমন প্রাণ, ভরসা, রহমান ইত্যাদি কোম্পানি গুলো কৃষকদের, প্রতি একর জমি চাষের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে দিয়ে চাষাবাদ করায়। সে টাকা অফারতযোগ্য। চাষ করা শেষে এই শিমুল আলু ঐ কোম্পানিগুলো নগদ টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে এবং প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করছে। যেমন-

  • আটা
  • পাপড়
  • নুডুলস
  • ক্র্যাকরস
  • বিস্কুট
  • কেক
  • পাউরুটি
  • ঠান্ডা কাশির সিরাপ
  • গ্লুকোজ
  • চকলেট
  • কফি
  • সুজি
  • বেয়ার
  • পোল্টির ফিট
  • কাগজ

ইত্যাদি তৈরি করছে। কাসাবা থেকে শুধু খাবারই তৈরি হয় না। এ থেকে স্ট্যার্চ তৈরি হয়, যা বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই স্ট্যার্চ টেক্সটাইল, ওষুধ ও রসায়ন শিল্পে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া-

  • সিমেন্টের গুণগত মান উন্নয়নে
  • কাগজ
  • আঠা
  • প্রসাধনী
  • রাবারও
  • সাবান

শিল্পে স্ট্যার্চ ব্যবহার করা হয়।অন্যদিকে স্ট্যার্চ, মল্টোজ, লিকুইড, গ্লুকোজ সহ অন্যান্য রূপান্তরিত চিনি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শিমুল আলুর আটার গুনাগুন গমের আটার চেয়েও অনেক বেশি। এর আঠালো রস ডাইবেটিস ও হৃদরোগের উপর কাজ করে। শিমুল আলুর ফাইবার বাড়তি কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে ভূমিকা রাখে।

পুষ্টি মানের দিক থেকে শিমুল আলুর গুরুত্ব

উচ্চ কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে শিমুল আলুতে রয়েছে অধিক শক্তির উৎস। এছাড়া কিছু প্রোটিন এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদন রয়েছে। এক্ষেত্রে এই উপাদান গুলোর পরিমাণ মাটির গুণগত মান বা উর্বরতার উপর একটু হের ফের হতে পারে। এছাড়া চাষ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উপর ও উক্ত উপাদান গুলোর পরিমাণ কম বেশি হতে বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।

রন্ধন শিল্পে শিমুল আলুর ব্যবহার

শিমুল আলু বিভিন্নভাবে রন্ধনশিল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে ফোটানো, ভাজি বা ময়দার সাথে মিছিয়ে নেওয়া ইত্যাদি। এই রন্ধন বৈচিত্র্যতা এটিকে বিভিন্ন রন্ধন শিল্পের ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন খাদ্য তালিকায় চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আপনি এটিকে যদি সঠিকভাবে রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারেন তবে তা হয়ে উঠবে মুখরোচক খাবার।

আটার বিকল্প হিসেবে শিমুল আলু

আঠাতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুটেন থাকে। এক্ষেত্রে অনেকেই এই গ্লুটেন যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। বিভিন্ন সমস্যা জনিত কারণে এই গ্লুটেন খাওয়া থেকে নিষেধাজ্ঞাও হয়ে থাকে। তাদের ক্ষেত্রে আটার বিকল্প হিসেবে শিমুল আলুর তৈরি আটা একটি বিকল্প খাবার। যাতে কোন প্রকার গ্লুটেন থাকে না। কাসাভা সম্পূর্ণ গ্লুটেন মুক্ত। এক্ষেত্রে খুব ভালোভাবেই আপনার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন শিমুল আলুর আটা ব্যবহার করে।

প্রতিকূলতায় জন্মানোর ক্ষমতা

শিমুল আলু একটি শক্ত বা কঠিন শস্য যা মাটির অনুর্বর হওয়া সত্বেও খুব ভালোভাবে জন্মাতে পারে। সে ক্ষেত্রে যে সকল দেশে বা অঞ্চলে মাটির উর্বরতা খুব একটা ভালো না বা আবহাওয়া অত্যন্ত গরম সে সব দেশে বা অঞ্চলে তাদের প্রধান শস্যের সাথে তাল মিলিয়ে এই শিমুল আলু চাষ করা যায়। এতে করে চ্যালেঞ্জিং কৃষি পরিবেশসহ ঐসব অঞ্চলে এটিকে একটি নির্ভরযোগ্য শস্য হিসাবে গড়ে তোলা হয়।

খাদ্য নিরাপত্তার নিমিত্তে শিমুল আলুর ব্যবহার

শিমুল আলু লক্ষ লক্ষ মানুষের খাবার নিরাপত্তা দানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এমন কিছু দেশ বা অঞ্চল রয়েছে যার প্রধান খাদ্য হলো শিমুল আলু। বিশেষ করে সাব-সাহারান আফ্রিকায় যেখানে তারা শিমুল আলুকে প্রধান খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করে। প্রতিকুল জলবায়ুতে এর বেড়ে ওঠার ক্ষমতা, সেই সাথে সর্বোচ্চ ফলন হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এর জুরি মেলা অসম্ভব।

আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে শিমুল আলু

বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই শিমুল আলু চাষ করা শুরু হয়েছে। শতশত কৃষিজীবী মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে এই শিমুল আলু চাষে। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশের গ্রামীণ এলাকায় এটি স্থানীয় বাজারে এবং তা বাণিজ্যিকভাবে দেশে-বিদেশে রপ্তানি করেও আয়ের উৎস হিসাবে শিমুল আলুর গুরুত্ব রয়েছে। পক্ষান্তরে দারিদ্র্য বিমোচনে এবং অর্থনৈতিকভাবে কৃষিজীবী মানুষগুলো লাভবান হচ্ছে।

শিল্প কলাকৌশলে শিমুল আলুর ব্যবহার

এটি কেবল মানুষের খাদ্য হিসাবেই ব্যবহৃত হয় না। এর শিল্প কলাকৌশলেও নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। এইসব শিল্প চাহিদার তুলনায় কাঁচামাল না পাওয়ায় প্রায় শিল্প টিকে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। তারা এই শিমুল আলুর আধুনিক উদ্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে খুব ভালোভাবেই চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে। যেমন বিভিন্ন খাদ্য, কাগজ, টেক্সটাইল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রাকৃতিক অবক্ষয় ঠেকাতে শিমুল আলুর ভূমিকা

অনুর্বর জমিতে জন্মানোর ক্ষমতা থাকার কারণে শিমুল আলু চাষে মাটির সংরক্ষণ এবং উর্বরতায় অবদান রাখতে ভূমিকা রাখে এই শিমুল আলু। এর গভীর মূল মাটির ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে এবং সময়ের সাথে সাথে মাটির গঠন পরিপক্ক বা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটিকে তার অবস্থানে ধরে রাখতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার ১৩টি অজানা তথ্য

ঔষধি গুনাগুন: শিমুল আলু একটি বিশেষ খাদ্য হিসেবে পরিচিতি পেলেও এর বেশ কিছু ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে অনেক গবেষণা চলছে আসুন দেখা যাক এই শিমুল আলুর সাথে যুক্ত কিছু ঔষধি গুণাবলী এবং তার উপকারিতা-

আন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে ভরপুর শিমুল আলু

কাসাভাতে ফেনোলিক এসিড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি-যার্ডিক্যাল বা ফ্রি-রেডিক্যাল গুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ফলে এন্টিঅক্সিডেন্ট ট্রেস এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে। সেই সাথে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ জনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

এন্টি ইনফ্লামাটরি প্রভাবে শিমুল আলুর ভুমিকা

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, সেখানে শিমুল আলুর মধ্যে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, এছাড়া হার ক্ষয়ে যাওয়া বা আথ্রাইটিস এর স্ফীতি যেন আর বাড়তে না পারে সেদিকে বাধা দিয়ে স্ফীতি  কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই শিমুল আলু। এছাড়া দীর্ঘদিনের প্রদাহ ভালো করতেও শিমুল আলু ভূমিকা অপরিসীম।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে শিমুল আলুর ব্যবহার

শিমুল আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা খাবার হজম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া এই ফাইবার অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কে উন্নত করতে পারে। যা দ্রুত খাদ্যবস্তুকে পচন ঘটিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে এবং একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের গঠনকে আরো মজবুত করে দিতে পারে। শিমুল আলুতে বিদ্যমান ফাইবার মলটাকে নরম করে কোষ্ঠকাঠিনের হাত থেকে রক্ষা করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে শিমুল আলুর বৈশিষ্ট্য

কাসাভা বা শিমুল আলুতে কিছু উপাদান রয়েছে যেমন সাপোনিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। এই দুটি উপাদান ক্যান্সার নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে পারে এবং ক্যান্সার কোষ গুলোকে মেরে ফেলতে পারে। পাশাপাশি নতুন কোষ তৈরি করতেও পারে। তাই বলা যায় ক্যান্সার প্রতিরোধে শিমুল আলু একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে শিমুল আলুর ব্যবহার

অন্য যে কোন খাদ্যের তুলনায় শিমুল আলুতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক কম থাকে। অন্যদিকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার দরুন এই উপাদান কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া শিমুল আলুতে বিদ্যমান পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এক কথায় কাসাভা রক্ত সঞ্চালনের গতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক্ষত নিরাময়ে শিমুল আলুর পাতার ব্যবহার

ক্ষত নিরাময়ে শিমুল আলুর পাতার জুড়ি মেলা ভার। আমাদের শরীরের ক্ষত নিরাময়ে শিমুল আলুর পাতা নির্যাস সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শিমুল আলুর পাতার নির্যাসে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি প্রভাব রয়েছে। যার কারণে ট্রপিক্যালি ক্ষত নিরাময়ে শিমুল আলুর পাতার নির্যাস অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শিমুল আলুর ভূমিকা 

অন্য যেকোনো স্টার্চ খাবারের তুলনায় শিমুল আলোতে কম গ্লাইসেমিক সূচক বিদ্যমান যার ফলশ্রুতিতে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই শিমুল আলু। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এবং যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাদের জন্য শিমুল আলু অত্যন্ত ঔষধি গুনাগুন সমন্বিত একটি উদ্ভিদ।

ইমিউনিটি সচল রাখতে শিমুল আলুর গুরুত্ব

কাসাবা বা শিমুল আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিন সি আমাদের ইমিউনিটি ফাংশনকে শক্তিশালী করে। যার ফলশ্রুতিতে অল্পতেই রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কেটে যায়। এছাড়া সামগ্রিকভাবে এই শিমুল আলু আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ঋতুভিত্তিক বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদেরকে দ্রুত সারিয়ে তুলতে শিমুল আলুর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে শিমুল আলুর ব্যবহার

শিমুল আলুতে রয়েছে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। তাই এটি নিয়মমাফিক খেতে হবে। এজন্য প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম কাসাভা খেতে পারেন। প্রথমে এটি ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর গরু বা ছাগলের হালকা গরম একগ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে, তার সাথে এক চামচ মধুর নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে সকালে নাস্তার সাথে খেতে হবে। এতে করে আপনার শারীরিক দুর্বলতা কেটে যাবে এবং আপনি সুখী সমৃদ্ধ জীবন পাবেন। এক কথায় পুরুষের বীর্য বাড়াতে কাসাভা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শেষ কথা

শিমুল আলুর নানাবিধ উপকারী দিক রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কৃষিজীবী মানুষ এটা চাষ করে স্বনির্ভর হতে পারছে। পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে হ্যাঁ, এটা লক্ষ্য রাখতে হবে যে সঠিক প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত পদার্থ অপরসারণ করতে হবে। এতে যে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড রয়েছে তা অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। উপরোক্ত উন্নত মানের পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে শিমুল আলুর জাত উন্নত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url