ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায় জেনে নিন

 

ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায় জানতে যারা আগ্রহী তারা অবশ্যই এই পোস্টটি অত্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়বেন। আমরা অনেকেই আছি যারা ব্যাংকিং কার্যক্রম না জানার কারনে ব্যাংক সম্পর্কিত কোন কাজ করতে হবে ভেবে এড়িয়ে যাওযার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে আমরা অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ নেয়।

এই পোষ্টে আপনে তেমন কিছু বিষয় জানতে পারবেন । ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায় জেনে নিন এবং এখান থেকে আপনি ব্যাংকিং কার্যক্রমের যাবতীয় বিষয় জানতে পারবেন। ব্যাংক সম্পর্কিত ১০ টি অজানা তথ্য আপনাদের কাছে উপস্থাপন করবো। এটি জানার পর আপনার ব্যাংক ভীতি মন থেকে চিরতরে দূর হয়ে যাবে। তাই সম্পূর্ন পোষ্ট পড়ে ব্যাংক সম্পর্কে সুন্দর ধারনা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলুন। 

পেজ সূচিপত্র: ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায় জেনে নিন

ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বপ্রস্তুতি  

ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বপ্রস্তুতি হচ্ছে ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সমস্যার একটি সমস্যা অন্যতম সমস্যা তবে এর সমাধানও রয়েছে। ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আপনার সঠিক পরিচয়, আপনার অর্থের উৎসের খাত শেয়ার করে সার্বিক আলোচনার মাধ্যমে একমত পোষনে আসতে হবে। একাউন্ট খোলার পূর্বে নিম্নোক্ত কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। NID কার্ড পাসপোর্ট সাইজ ছবিনমিনীর ছবি এবং NID কার্ড অত্র ব্যাংকে অন্য কোন ব্যাক্তির হিসাব আছে তার পরিচয় দানকারী হিসাবে নিযুক্ত হতে হবে।


ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করবেন যেভাবে

ব্যাংক খাতে একাউন্ট ট্রান্সফার করার মত সমস্যা সমাধান করার সুন্দর উপায় রয়েছে। আপনার যে ব্যাংকে হিসাব খোলা আছে সে ব্যাংকে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। ব্যাংক কতৃপক্ষ যদি কারণ যুক্তিযুক্ত মনে করে তবে ট্রান্সফার চার্জ প্রদান করলেই ব্যাংক তার নিয়ম অনুসারে অন্য যে কোনো শাখায় ট্রান্সফার করতে পারবে। এক্ষেত্রে আপনার হিসাব ব্যাংকের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে অফিসিয়াল প্রটোকল মেনে আপনার সুবিধাজনক শাখায় ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।

ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম


ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মধ্যে একটি হচ্ছে একাউন্ট বন্ধ করা। গ্রাহকের বা আপনার যে ব্যাংকে হিসাব আছে সে ব্যাংকে গিয়ে হিসাব বন্ধের উপযুক্ত কারন দেখিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ  বরাবর একটি আবেদন করতে হবে। তারপর ব্যাংক তাদের নিজেস্ব নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের হিসাবের ফরম বের করে তার স্বাক্ষর সত্যায়িত করে অফিস প্রটোকল অনুযায়ী হসিাব বন্ধ করবেন।

কতদিন লেনদেন না করলে একাউন্ট  বন্ধ হয়ে যায়


কতদিন লেনদেন না করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় এই বিষয়টি ও আজকে আপনাদের কাছে তুলে ধরব। গ্রাহক যদি সাধারনত ৬ মাস লেদেন না করে তাহলে একাউন্ট  Inoperative হয়ে যায়। এরপর ৫-৭ বছর গ্রাহক লেনদেন না করলে অত্র ব্যাংক গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে।যদি গ্রাহকে সাথে যোগাযোগ করতে বার্থ  হয় সেক্ষেত্রে নমিনির সাথে যোগাযোগ করবে। এরপরও যদি কারো সাথে যোগাযোগ করতে বার্থ হয় তাহলে উক্ত হিসাবে যদি অর্থ না থাকে তবে তা বন্ধ হয়ে যাবে। আর যদি অর্থ থাকে তবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পাঠিয়ে দেয়া হয়।



       

কিভাবে বন্ধ একাউন্ট চালু করবেন

কিভাবে বন্ধ একাউন্ট চালু করবেন সেই বিষয়টিও এখানে তুলে ধরা হলো। গ্রাহক যদি মনে করে তার বন্ধ একাউন্ট চালু করবে তবে তিনি আবেদন করে NID কার্ড  প্রদানের মাধ্যমে নূন্যতম ডিপোজিট জমা করে বন্ধ একাউন্ট সচল করতে পারবেন।

ছেঁড়া টাকা ব্যাংক আপনাকে দিলে যা করবেন


ছেঁড়া টাকা ব্যাংক আপনাকে দিলে যা করবেন সে বিষয়টি এখানে জানাবো। গ্রাহককে টাকা উত্তোলনের সময় অবশ্য টাকা দেখে নিতে হবে। যদি ছেঁড়া টাকা ব্যাংক দিয়ে থাকে তবে তা ব্যাংকে ফেরত দিয়ে পরির্বতন করে নিতে হবে। তবে সকল ছেঁড়া টাকা যে অচল ঠিক তা নয়। যেগুলো একেবারেই অচল সেগুলো টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ভিসা বা মাষ্টার কার্ড যেভাবে পাওয়া যায়


ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সমস্যার একটি সমস্যা হচ্ছে ভিসা কার্ড বা মাস্টার কার্ড উত্তোলন করা। গ্রাহক যদি ভিসা কার্ড বা মাস্টার কার্ড পেতে চায় তাহলে যে ব্যাংকে একাউন্ট করা আছে সে ব্যাংকের অধীনে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে কিছু টাকা চার্জ দিতে হবে। ভিসা বা মাস্টার কার্ড  মূলত একই রকমের হয়ে থাকে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই ২ কার্ডের ব্যবহার রয়েছে। তবে অনলাইনের ক্ষেত্রে ২টি কার্ডের সিকুরিটি কোড ব্যবহার করা হয়।

ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ২টি সহজ উপায়


ব্যাংক থেকে টাকা তোলার দুটি সহজ উপায় রয়েছে। তবে বহুল প্রচলিত এই ২ টি উপায় সর্বজন সীকৃত। সাধারণত ব্যাংকে টাকা জমা থাকলে আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে টাকা উত্তোলন করে থাকি।  এ বিষয়ে অনেকেরই জানা নেই কোন উপায়ে টাকা তোলা সবচেয়ে নিরাপদ। টাকা তোলার ২টি উপায়:

১। চেক বই এর মাধ্যমে টাকা তোলা

গ্রাহকে কাছে চকে বই থাকলে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের নাম, টাকার অংক,  এবং সাক্ষর দিয়ে সরাসরি ব্যাংকে গিয়েটাকা তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোন চার্জ কর্তন করা হবে না।

২। কার্ড এর মাধ্যমে এ টি এম বুথ থেকে টাকা তোলা

গ্রাহকে যদি কার্ড ইস্যু হয়ে থাকে তবে গ্রাহক যে কোনো এ টি এম বুথে গিয়ে কার্ডের পিন নাম্বার দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা তুলতে পারবেন।

লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে যা মানতে হবে

লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে যা মানতে হবে। ব্যাংক লোন নিয়ে আমাদের প্রায় সবারই সঠিক তথ্য জানা নেই। এ ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই সঠিক তথ্য জানতে হবে। হঠাৎ করে আমাদের মোটা অংকে টাকা প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে টাকা পাওয়ার সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হচ্ছে ব্যাংক। ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন পাওয়া যাবে এ বিষয়ে এই পোষ্টে বিস্তারিত উপস্থাপন করবো। তাই মনােনিবেশ করে এই পোষ্টটি ,পড়ুন অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন।

 
ব্যাংক লোন পেতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কিছু শর্ত মেনে নিয়ে লোন নিতে হয়। যেমন ক্রেডিট হিস্টোরি, ভালো চাকরী, সক্ষমতা,  এভাবে অনেক দিক বিবেচনা করা হয়। বেশি পরিমান লোন নিলে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তা ধীরে ধীরে লোন পরিশোধ করা যায়। লোন পরিশোধ করা যায় মাসিক বা অন্যান্য কিস্তিতে। এক্ষেত্রে ব্যাংক আলাদা ভাবেসুদ বা মুনাফা ধার্য করে। কাজেই লোন নেয়ার আগে লোন পরিশোধের ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়া অতীব জরুরি।

শেষ কথা

শুধু ব্যাংক নয় যেকোন অজানা বিষয় জানার জন্য আগ্রহ থাকতে হবে। মানুষ কোনো কিছু জেনে জন্মগ্রহন করে না। বড় হওয়ার সাথে সাথে যে যত জানার চেষ্টা করবে সে ততবেশি জানতে পারবে। আমাকে দিয়ে কিছু হবে না এটা ভেবে চুপ করে থাকলে পিছিয়ে যাবেন। শুধু ব্যাংক নয় এই রকম অনেক অফিস আছে তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অনেক কিছুই জানিনা। তাই চলুন যা জানিনা তা জানার চেষ্টা করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url